পবিত্র রমজান মাস শুরু হয়ে গেছে। এসময় আল্লাহ ও রসুলের সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্য ধর্মপ্রাণ মুসলিমরা সুবেহ সাদিক থেকে শুরু করে সূর্যাস্ত পর্যন্ত পানাহার থেকে বিরত থাকে। রোজা শরীর ও মনের ওপর ভালো প্রভাব ফেলে। রোজা রাখলে  শরীর থেকে টক্সিন জাতীয় বস্তু বের করে দেয়। তবে সঠিক নিয়ম মেনে না চললে রোজা রেখে সমস্যা হতে পারে। যেমন ইফতারে একবারে অনেক বেশি খাবার আর ইফতার ও সাহরির মাঝখানে পর্যাপ্ত পানি না খাওয়ার কারণে শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়। আর সাহরির খাবার এমন হবে যা সারাদিন শরীরকে কাজ করার শক্তি দেয়। এজন্য রমজানে কী খাবেন আর কী খাবেন না তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

পুষ্টিবিদদের মতে, ইফতার হলো শরীরের ভারসাম্য ফিরিয়ে আনা এবং শরীরকে রিচার্জ করা। এজন্য ইফতারে  প্রোটিন, ফল, শাকসবজি, কার্ব সব ধরণের খাবার থাকতে হবে।

যা খাবেন:

১. সাহরি ও ইফতারের মাঝে পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি ও তরল জাতীয় খাবার পান করুন।

২. সাহরিতে ভালো খাবার খান। এমন খাবার খান যা শরীরে শক্তি যোগায়।  প্রয়োজনে একজন পুষ্টি বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে পারেন।

৩. ইফতারে তরল জাতীয় খাবার রাখুন।

৪. শস্য জাতীয় খাবার তালিকায় রাখুন।

৫. আলমণ্ড, অন্যান্য বাদাম, অ্যাভোকাডো তালিকায় রাখুন।

৬. প্রোটিন জাতীয় খাবার যেমন দুধ, ডিম, দই, খেজুর, ফল, সবজি, ভিটামিন-মিনারেলস তালিকায় রাখুন।

 যা খাবেন না:

১. কৃত্রিম পানীয় পরিহার করুন।

২. রমজানে ডায়েট করবেন না, ফ্যাট জাতীয় খাবারও তালিকায় রাখুন।

৩. ইফতারের পর পর খুব বেশি গরম বা খুব বেশি ঠাণ্ডা জাতীয় তরল পান করবেন না।

৪. ইফতারে তৈলাক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন।

৫. উচ্চ-ফ্যাট ও উচ্চ-ক্যালোরিযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন।

৬. রিফাইনড ও প্রসেসড খাবার এড়িয়ে চলুন।

আপনি যদি অসুস্থ হয়ে থাকেন বা কোন রোগের জন্য ওষুধ খেয়ে থাকেন তাহলে চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করে কী খাবেন আর কী খাবেন না ত ঠিক করুন।

সূত্র: এনডিটিভি ফুড

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *