সিলেটে দক্ষিণ সুরমা উপজেলায় চুরি করতে এসে হৃদরোগে আক্রান্ত বাচ্চু মিয়া (৩১) নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। তার বিরুদ্ধে ডাকাতি মামলাও রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। 
শনিবার (২ এপ্রিল) সকালে উপজেলার পুরাত তেতলী ধরাধর এলাকার একটি বাড়ি থেকে ওই ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করা হয়। 


নিহত বাচ্চু মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার ডেঙ্গা্রবন গ্রামের ছুরত আলীর ছেলে। তিনি দক্ষিণ সুরমার খোজারখলাস্থ এরশাদ মিয়ার কলোনিতে ভাড়া থাকতেন। 
স্থানীয় সূত্র ও পুলিশ জানায়, শুক্রবার (১ এপ্রিল) গভীর রাতে ধরাধরপুর এলাকার একটি বাড়িতে চুরি চেষ্টা হয়। বাচ্চু মিয়াসহ সঙ্গীয় চোররা ঘরের বাইরের তালা ভেঙে ফেললেও ভেতর দিয়ে তালাবদ্ধ থাকায় ঘরে প্রবেশ করতে পারেননি। 


এ সময় পাশের বাড়িতে চুরি করতে গেলে কুকুর ঘেউ ঘেউ শুরু করলে বাড়ির লোকজন জেগে ওঠেন। তারা শুনতে পান গোয়াল ঘরের পাশে কে যেনো জোরে জোরে শ্বাস-প্রশ্বাস নিচ্ছেন। ঘরের লোকজনের ফোনে আশপাশের লোকজনও ছুটে এসে দেখতে পান, কাদামাটি গায়ে লেগে থাকা ব্যক্তি মৃত্যু শয্যায় রয়েছেন। 
তাৎক্ষণিক তারা স্থানীয় চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যকে খবর দেন। পরে থানায় খবর দেওয়া হলে পুলিশ আসার আগেই লোকটি মারা যায়। পরে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।


দক্ষিণ সুরমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলাম তালুকদার বলেন, বাচ্চু মিয়ার নামে মোগলাবাজার থানায় ডাকাতি মামলা রয়েছে। ওই মামলায় ৪ বছর আগে তাকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠায় পুলিশ। চার মাস আগে ছাড়া পেয়ে তিনি আবারও চুরির চক্রের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন। 


তিনি বলেন, বাচ্চু মিয়া কারাগারে থাকাকালে আরও দুইবার হৃদরোগে আক্রান্ত হন। সম্প্রতি প্রায় ৪ মাস আগে কারাগার থেকে বেরিয়ে এসে চোর চক্রের সঙ্গে যুক্ত হয়ে চুরি করতে যান। সেসময় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তার মৃত্যু হয়। তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। এ ঘটনায় চুরির চেষ্টা মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *