বিয়ানীবাজারে দিন দিন ব্যঙ্গের ছাতার মতো গড়ে উঠছে ক্লিনিক ও ডায়গনেষ্টিক সেন্টার। সরকারি অনুমোদন ছাড়াও এগুলোর মান ও সেবা নিয়ে জনমনে ছিলো নানা প্রশ্ন। একইসাথে স্বাস্থ্য প্রশাসনের দেয়া ৭২ ঘন্টার নির্দেশনা অনুযায়ী সারাদেশের ন্যায় বিয়ানীবাজারেও অনিবন্ধিত বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়গনস্টিক সেন্টারগুলোতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেছে স্থানীয় স্বাস্থ্য প্রশাসন।

অভিযানে দুইটি প্রতিষ্ঠানকে অর্থদণ্ড প্রদানসহ অনুমোদন না থাকার অভিযোগে দুটি ডায়গনস্টিক সেন্টার সাময়িক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সোমবার (৩০ মে) বিকেলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আশিক নূর এই অভিযান পরিচালনা করেন।

অভিযানকালে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. দেলোয়ার হোসেনসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সঙ্গে ছিলেন। এসময় সরকারি অনুমোদন না থাকায় দি এইড ও মেডিএইড নামে দুটি ডায়গনষ্টিক সেন্টার বন্ধসহ অসঙ্গতি থাকায় দি নিউ জেনারেল হাসপাতাল ও ইউনিক ডায়গনষ্টিক সেন্টারকে ৪ হাজার করে মোট ৮ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এসময় স্বাস্থ্য প্রশাসনের এই অভিযানে বিয়ানীবাজার থানার একদল পুলিশ সহযোগিতা করেছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিষ্টেট মো. আশিক নূর বিয়ানীবাজারে স্বাস্থ্যসেবার নামে এমন অনিয়ম দেখে বিষ্ময় প্রকাশ করে বলেন, এমন অভিযান অব্যাহত থাকবে।

উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা ও স্বাস্থ্য কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন সুমন বলেন, বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক ৭২ ঘণ্টার মধ্যে দেশের সব অনিবন্ধিত ক্লিনিকগুলো বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশের পর তারা অভিযানে নেমেছেন।

এর আগে এদিন সকালে অনুষ্ঠিত উপজেলা পরিষদে একটি সভায় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কাশেম পল্লব বিয়ানীবাজারে স্বাস্থ্য সেবার নামে অনিবন্ধিত হাসপাতাল ও ডায়গনাস্টিক সেন্টারগুলোর নানা নৈরাজ্যের কথা তুলে ধরে এগুলেো বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানান।

এদিকে, দীর্ঘদিন পর স্থানীয় স্বাস্থ্য প্রশাসনের এই অভিযান পরিচালনা করায় কিছুটা হলেও স্বস্তি এসেছে এসব প্রতিষ্ঠানে সেবা নিতে আসা সাধারণ রোগীদের মনে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *