নামাজ ফরজ ইবাদত। নবিজী বলেছেন, নামাজ সেভাবে পড়ো; যেভাবে আমাকে পড়তে দেখেছো। আর আল্লাহ বলেন, ‘নিশ্চয়ই নামাজ অশ্লীল ও অন্যায় কাজ থেকে বিরত রাখে।’ আবার সময় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নামাজ পড়ার কথাও এসেছে অন্য আয়াতে।

নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘নামাজ হলো ঈমানদার ও কাফেরের মধ্যে পার্থক্য নির্ণয়কারী। আবার যে ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে নামাজকে ছেড়ে দিল তবে সে কুফরি করলো বলেও ঘোষণা করেছেন বিশ্বনবি। এসব ঘোষণার পরও অনেক মানুষ নামাজ পড়া থেকে বিরত থাকে। যারা নামাজ পড়ে না তাদের দুনিয়া ও পরকালে রয়েছে কঠোর আজাব ও কষ্ট। তাহলে নামাজ না পড়লে বেনামাজি দুনিয়াতে কী কষ্ট ভোগ করবে?

কেয়ামতের দিন সর্বপ্রথম নামাজের হিসাব গ্রহণ করা হবে বলে ঘোষণা করেছেন বিশ্বনবি। কিন্তু কেয়ামতে আগে দুনিয়াতেও বেনামাজি চরম কষ্ট ভোগ করবে; তাহলো-

বেনামাজির দুনিয়ার জীবনের কষ্ট

১. আল্লাহ তাআলা নামাজ ত্যাগকারীকে দুনিয়ার জীবনে সব কাজের বরকত থেকে মাহরূম/বঞ্চিত করেন।

২. নামাজ ত্যাগকারী ব্যক্তির চেহারায় কোনো নূর বা উজ্জ্বলতা থাকে না।

৩. যে ব্যক্তি নামাজ ত্যাগ করে ওই ব্যক্তি দুনিয়ার অন্যান্য ভালো কাজের কোনো পুরস্কারও পাবে না।

৪. নামাজ ত্যাগকারী ব্যক্তির জন্য কোনো লোক দোয়া করলে, ওই ব্যক্তির জন্য দোয়াকারীর দোয়া বা কল্যাণ কামনা কোনো কাজে আসবে না।

৫. সর্বোপরি নামাজ পরিত্যাগকারী ব্যক্তি দুনিয়ার প্রতিটি পদক্ষেপেই আল্লাহ তাআলা সব সৃষ্টিজীবের কাছে ঘৃণিত হবে। কোনো সৃষ্টিজীবই তাকে পছন্দ করে না।

উল্লেখিত প্রতিটি বিষয় পাওয়া কামনা করে মুমিন মুসলমান। নামাজ না পড়ার কারণে তারা এসব কল্যাণ থেকে বঞ্চিত হয়ে কষ্টের মুখোমুখি হবে।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে যথা সময়ে যথাযথভাবে নামাজ পড়ার তাওফিক দান করুন। দুনিয়ার কষ্ট ও লাঞ্ছনা থেকে মুক্ত রেখে তাঁর নৈকট্য অর্জনে নিয়মিত ও সময়মতো নামাজ আদায় করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *