মৌলভীবাজারের জুড়ীতে আপন চাচাতো বোনকে রাতভর ধর্ষণের অভিযোগে মাসুক মিয়া (৩৮) নামে এক কাঁচামাল ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (১৩ অক্টোবর)  গভীর রাতে জুড়ী থানার এস.আই খাইরুল আলম বাদলের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল অভিযান চালিয়ে উপজেলার সাগরনাল ইউনিয়নের রানীমুরা বীরগুগালিস্থ নিজ বাড়ী থেকে তাকে গ্রেফতার করে। মাসুক ওই গ্রামের মৃত তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে। তাকে বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

ভিকটিমের পরিবার ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, মাসুক মিয়া ভিকটিমের আপন চাচাত ভাই। ধর্ষণের শিকার মেয়েটি কুলাউড়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এবার এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছে। গত ৮ অক্টোবর বিকেলে মাসুক মিয়া ও তার মেয়ে ফাহিমা আক্তার ভিকটিমের বাড়ীতে যায়। পরে মেয়ের বিয়ের অনুষ্ঠানের কথা বলে ভিকটিমকে (১৬) তার বাড়ীতে নিয়ে আসে। পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী রাত সাড়ে বারোটায় মাসুক তার  মেয়ে ও ভিকটিমকে একটি কক্ষে ডেকে নেয়। তারা সেখানে যাওয়ার পর মেয়েকে ইশারা দিয়ে কক্ষ থেকে বের করে দেয়। পরে মাসুক ভিকটিমকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ভোররাত পর্যন্ত তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করে। ভিকটিম মাসুক মিয়ার হাতে পায়ে ধরেও তার সম্ভ্রম রক্ষা করতে পারে নি। একপর্যায়ে সে চিৎকার করলেও পাশের কক্ষে থাকা মাসুকের দুই স্ত্রী ও মেয়ে তাকে উদ্ধারে এগিয়ে আসে নি। ধর্ষণের বিষয়টি কাউকে জানালে তাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয় অভিযুক্ত লম্পট মাসুক মিয়া। সকালে মাসুক মিয়ার ছেলের মোবাইল থেকে ভিকটিম তার ভাইকে বিষয়টি জানালে তার ভাই তাকে উদ্ধার করে মৌলভীবাজার সদর সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করেন। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় এখনো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। 

ভিকটিমের বড় ভাই জানান, অভিযুক্ত মাসুক মিয়া একজন লম্পট ও নারীলোভী। সে অনেক অসহায় ও নিরীহ মেয়ের জীবন নষ্ট করেছে। এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী ও জুয়াড়ী হওয়ায় তার বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায় না। আমরা লম্পট, নারীলোভী ও চিহ্নিত এ মাদক ব্যবসায়ীর কঠোর শাস্তি চাই।

এ বিষয়ে জুড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সঞ্জয় চক্রবর্তী বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পর অভিযুক্ত মাসুক মিয়াকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। নিরাপদ সমাজ গড়ে তোলার লক্ষ্যে এমন ঘৃন্য অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। গ্রেফতারকৃত মাসুক মিয়াকে বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *