নানা আয়োজনে সিলেট জেলার জৈন্তাপুর উপজেলার আর এম প্রিপারেটরী স্কুলের পিঠা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়৷
সোমবার (৩০ জানুয়ারি) সকাল ১০টায় স্কুল কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে এ উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। শিক্ষার্থীদেরকে দেশের ঐতিহ্যের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিতে আর এম প্রিপারেটরী স্কুল তার ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে বিভিন্ন কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করে। তারই ধারাবাহিকতায় অনুষ্ঠিত হয় পিঠা উৎসব। দেশি বাহারি পিঠা প্রদর্শনীর মাধ্যমে শিশুদের দেশীয় সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচয় করানো হয়।
পিঠা উৎসব উপলক্ষে ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক-শিক্ষিকা, অভিভাবকদের আগমনে স্কুল প্রাঙ্গণ মিলন মেলায় পরিণত হয়। নেচে-গেয়ে, হই-হল্লা করে সকলে দিনটি পার করেন৷ শিশুদের আবৃতি, গান, নৃত্য ও চিত্রাঙ্কন পিঠা উৎসবে আসা অথিতিদের মুগ্ধ করে।

পিঠা উৎসবের উদ্বোধন কালে আর এম প্রিপারেটরী স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা গিয়াস উদ্দিন বলেন, পিঠা খাওয়ার দাওয়াতের প্রচলন এদেশের গ্রাম্য সংস্কৃতির একটি অংশ। শীতের সকালে এক বাড়িতে পিঠা বানিয়ে পাড়ার মানুষকে খাওয়ানো এখনো গ্রামের রীতি। আত্মীয়-স্বজনকে দাওয়াত দিয়ে কিংবা জামাই আপ্যায়নে পিঠার বেশ কদর রয়েছে বাংলাদেশে। মা-ভাবী কিংবা বোনদের হাতে বানানো পিঠার স্বাদ যেমনটা মিষ্টি তেমনি মধু মাখা তাদের হাসি৷ পিঠা উৎসব মানুষের মাঝে প্রাণের সঞ্চার ঘটায়, আনন্দে উদ্ভাসিত হয় মন। আমরা আমাদের ছোট ছোট ছেলে-মেয়েদের সেই সংস্কৃতির অংশ সম্পর্কে জানাতে পিঠা উৎসবের আয়োজন করি। প্রতি বছর উৎসব চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন তিনি।
পিঠা উৎসবে প্রধান অথিতি হিসেবে উপস্থিত হয়ে জৈন্তাপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন বলেন, নতুন প্রজন্মকে বাঙালীর লোকজ সংস্কৃতির ছোঁয়ায় বড় করে তুলতে হবে। নিজ জাতির সংস্কৃতি জানলেই প্রজন্ম থেকে প্রজন্মের প্রতিটি শিশু সফল হবে। তারাই দেশকে সফল করবে। তিনি বলেন বাঙালীর একটি অত্যন্ত মূল্যবান সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য রয়েছে। এটা প্রজন্মের প্রতিটি শিশুকে জানাতে হবে।