সিলেটের গোলাপগঞ্জে আলোচিত ঘটনাটি অপহরণ নয়, প্রেমিকের হাত ধরে পালিয়ে যায় সেই কিশোরী।

শনিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) রাতে জৈন্তাপুর থানা এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তারের পর সেই কিশোরী ও যুবক পুলিশকে বিষয়টি জানায়। গ্রেপ্তারের পর তাদের দুজনকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। সনাতন ধর্মাবলম্বী মেয়ে ও মুসলিম ছেলে হলেও তাদের মধ্যে দীর্ঘদিন থেকে প্রেমের সম্পর্ক ছিল।

জানা যায়, কিশোরী মেয়েকে অপহরণের অভিযোগে গত বৃহস্পতিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) উপজেলার লক্ষনাবন্দ ইউনিয়নের নিজ ঢাকাদক্ষিণ (বিদাইটিকর) গ্রামের কিশোরীর মা বাদি হয়ে ৪ জনের নামোল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরো ৪/৫ জনের নামে গোলাপগঞ্জ মডেল থানায় একটি মামলা (মামলা নং-২৪, তাং, ২৩/০২/২০২৩ইং) দায়ের করেন।

এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ১৯ ফেব্রুয়ারি রাত আনুমানিক সাড়ে ১১টার দিকে ওই কিশোরী প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিয়ে ঘরের বাইরে যায়। তখন পূর্ব থেকে ওতৎ পেতে থাকা প্রতিবেশী তারেক আহমদ (১৯) সহ আরও ৪/৫জন অস্ত্র-সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে কিশোরীকে জোরপূর্বক অপহরণ করে নিয়ে যাচ্ছে দেখে মেয়ের মা চিৎকার দিয়ে ওঠেন। একপর্যায়ে অনেক চেষ্টা করেও তাদের আটকাতে না পেরে তিনি নিজে অজ্ঞান হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। পরবর্তীতে চিৎকার শুনে বাড়ির লোকজন এগিয়ে এসে কিশোরীর মাকে ঘরে নিয়ে যান।

এ ব্যাপারে কোন সুরাহা করতে না পেরে পরদিন স্থানীয়দের পরামর্শে গোলাপগঞ্জ মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী (ডায়েরী নং-১০০৮, তাং ২০/০২/২৩) করেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক সুরঞ্জিত কুমার দাস বলেন, অপহরণের অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে গ্রেপ্তারের পর তাদের দুজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল বলে জানায় তারা।

এদিকে স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, ওই কিশোরী ও অভিযুক্ত যুবক দুজনই পাশাপাশি বাড়ির বাসিন্দা। তাদের মধ্যে দীর্ঘদিন থেকে প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। অপহরণ নয়, দুজন দুই ধর্মের অনুসারী হওয়ায় অনিশ্চিত পরিণয় দেখে তারা পালিয়ে যায় বলে জানান স্থানীয়রা।

গোলাপগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। মেয়েটা প্রাপ্ত বয়স্ক নয়। গ্রেপ্তারের পর তাদেরকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *