সিলেটের জৈন্তাপুরে রাতের আঁধারে চোরাকারবারীর হামলায় শ্রমিক আহত। হামলার ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়ের।
 

মঙ্গলবার (২১ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত ১২টায় পাথর মিল হতে কাজ শেষে বাড়ী ফেরার পথে শ্রীপুর কেরিং টিলা সংলগ্ন রাস্তা আসা মাত্র আসামপাড়া গ্রামের বাম্পার কবিরের ছেলে জব্বার মিয়া (৪০), একই গ্রামের মনির হোসেনের ছেলে জলিল মিয়া (৩০) এবং কেন্দ্রি ঝিঙ্গাবাড়ী (আমকিরপাড়) গ্রামের হরই মিয়ার ছেলে ছাইদুল্লাহ (২৬) আর অজ্ঞাত ২/৩ জন আমাকে প্রাণে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা চালায়। হামলার স্বীকার পাথর শ্রমিকের চিৎকারে এলাকার লোকজন এগিয়ে আসলে বিবাদীরা দ্রুত চলে যায়। এসময় হামলাকারীরা আরও বলে আসামপাড়ার জিয়া উদ্দিন এর মৃত্যুর কথা স্মরণ থাকলে আমাদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা না করার হুমকী প্রদান করে। এছাড়া মামলা করলে প্রাণে মেরে ফেলে লাশ গুম করার হুমকী দেন।

এছাড়া মঙ্গলবার দুপুর ১টায় শ্রীপুর এলাকায় জব্বারের নেতৃত্বে এক পাথর ব্যাবসায়ী সাফায়েতের উপর হামলা চালানো হয়। ঐ ঘটনাও জব্বারের বিরুদ্ধে জৈন্তাপুর মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে বলে জানান হামলার স্বীকার সাফায়েত।
 

প্রসঙ্গ, সিলেটের জৈন্তাপুর সীমান্তের ১২৮২ নম্বর পিলার এলাকার সরকারী ভূমিতে আসামপাড়া আবাসন প্রকল্পের হারুন মিয়ার ছেলে পাথর শ্রমিক মো. তারা মিয়া সব্জী চাষ করে আসিতেছে। সম্প্রতি বেশ কিছুদিন ধরে চোরাকারবারীরা এইপথ দিয়ে ভারতীয় মদ, মাদক, ভারতীয় গরু-মহিষ এবং বিভিন্ন ধরনের কসমেট্রিক্স “কেরিং টিলা” সংলগ্ন রাস্তা দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করাচ্ছে। চোরাচালানের গরু-মহিষের কারনে তারা মিয়ার ফসল নষ্ট করা হচ্ছে। বিষয় নিয়ে আমি বিবাদীকে আমার ফসল নষ্ট না করার অনুরোধ করি। তাতে বিবাধী ক্ষিপ্ত হয়ে গরু-মহিষ কিংবা মাদক ও কসমেট্রিকের চালান নিয়ে আসবে এবং ফসল নষ্ট করবে বলে প্রকাশ্যে গালীগালজ করে ও তাদের কাজে বাঁধা দিলে পৃথিবীতে বেঁচে থাকার অধিকার থাকবে না বলে জানায়। পরবর্তীতে রাতে আমার উপর হামলা চালায়।
 

এবিষয়ে জৈন্তাপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওমর ফারুক বলেন, ঘটনার সংবাদ জেনেছেন, লিখিত আভিযোগ পাননি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে মর্মে জানান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *