বিয়ানীবাজার উপজেলার মাথিউরা ইউনিয়নের পূর্বপাড় এলাকার আব্দুল হেকিমের বাড়ির কেয়ারটেকার নিখোঁজ রয়েছে। শুক্রবার ভোর রাত সাড়ে ৩টার দিকে পরিবারের সদস্যরা দেখতে পান তার ঘরের দরজা খোলা এবং বিছানা রক্তে ভেজা। ঘরের মেঝে এবং বারান্দায় রয়েছে ছোপছোপ রক্তের দাগ। বিষয়টি তাৎক্ষণিক প্রতিবেশি ও ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আমান উদ্দিনকে জানানো হলে দ্রুত সময়ের মধ্যে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছায়। বিকাল পর্যন্ত কেয়ারটেকার নাহিদ নিখোঁজ রসহ্যের সমাধান হয়নি।

খবর পেয়ে পৃথক সময়ে ঘটনাস্থলে আসেন সিলেটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (জকিগঞ্জ সার্কেল) জাকির হোসাইন, বিয়ানীবাজার থানার ওসি তাজুল ইসলাম। বিকালে সাড়ে তিনটার দিকে পিবিআই ও ডিভি পুলিশের পৃথক দুইটি তদন্ত দল ঘটনাস্থলে এসে আলামত সংগ্রহ করেছে। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, নীলফামারি জেলার কিশোরগঞ্জ থানা বড়ভিটাবাজার এলাকার হোসেন আলীর পুত্র তাইতুল ইসলাম নাহিদ গত ১৪ বছর থেকে মাথিউরা পূর্বপাড়ে অবস্থান কাজ করতো। সে ২০১৭ সাল থেকে আব্দুল হেকিমের বাড়ির কেয়ারটেকার হিসাবে কাজে যোগ দেয়।

পুলিশ ও স্থানীয়দের প্রশ্ন আসলেই কি নাহিদ খুন হয়েছে, বিছানায় পড়ে থাকা রক্ত কার। এসব জানতে রক্তের নমুনা পাঠানো হয়েছে ল্যাবে। পরীক্ষার ফলাফলের উপর নির্ভর করছে তদন্তের একটি দিকের অগ্রগতি।
সেহরি খাওয়ার জন্য নাহিদ ডাকতে গিয়ে কোন সাড়া না পেয়ে ফুয়াদ তার রুমের দরজা খোলা দেখে ভেতরে প্রবেশ করে দেখেন বিছানায় রক্তের মতো পদার্থ রয়েছে। এ বিষয়টি আব্বা আম্মাকে এবং পাশের বাড়ির এক বড়ভাইকে জানাই। পরে পরিবারকে চেয়ারম্যান আমান উদ্দিনের মাধ্যমে বিয়ানীবাজার থানা পুলিশকে জানানো হয়েছে।

খবর পেয়ে বিয়ানীবাজার থানা পুলিশের দুইটি মোবাইল টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে আলামত সংগ্রহ করে এবং পরিবার রক্তে ভেজা বিছানার চাদর, তোষক, কম্বলসহ নাহিদের ব্যবহৃত কাপড় ও মোবাইল জব্দ করেছে।
সন্ধ্যার পূর্বে জব্দকৃত তোষক ও বিছানার চাদর থেকে কোন ধরনের গন্ধ না পেয়ে পুলিশ এ ঘটনার সাথে ভিন্ন কোন রহস্য থাকতে পারে বলে সন্দেহ করছে। বিশেষ করে স্থানীয় এলাকার অনেকের সাথে নাহিদের আর্থিক লেনদেন ও দেনা পাওনার বিষয়ে সে পালিয়ে যেতে পারে বলে ধারণা করছে পুলিশ। পুলিশের এসব ধারণা, নাহিদের অবস্থান এবং ল্যাবে পাঠানো রক্তের নমুনার ফলাফল পাওয়ার পর যানা যাবে ঘটনার মূল রহস্য বলে জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাকির হোসাইন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *