নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী এবং জাতীয় পার্টির প্রার্থী নজরুল ইসলাম বাবুলকে কারণ দর্শানো নোটিশ প্রদান করেছে নির্বাচন কমিশন।

মঙ্গলবার সিলেট সিটি নির্বূাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সিলেটের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. ফয়সল কাদির স্বাক্ষরিত চিঠিতে এই দুই মেয়র প্রার্থীকে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে।

আনোয়ারুজ্জামান ও বাবুলকে প্রদত্ত চিঠিতে বলা হয়, কোন প্রার্থী বা তার পক্ষে কোন রাজনৈতিক দল, ব্যক্তি, সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান প্রতীক বরাদ্দের আগে কোন প্রকার নির্বাচনী প্রচার শুরু করতে পারবেন না। সিলেটে ২ জুন প্রতীক বরাদ্দের পর নির্বাচনী প্রচারণা শুরু হওয়ার কথা। কিন্তু নির্বাচনী আচরণবিধির তোয়াক্কা না করেই তারা নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন।

আচরণ বিধিমালা ৩২ বিধি অনুযায়ী কেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে না তা আগামী তিন কার্য দিবসের মধ্যে কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে লিখিত জবাব দিতে অনুরোধ করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে রিটার্নিং কর্মকর্তা ফয়সল কাদের বলেন, দুই মেয়র প্রার্থীর নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ পেয়েছি। তাই তাদের করাণ দর্শানো নোটিশ প্রদান করা হয়েছে। তাদের জবাবেব ভিত্তিতে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে।

নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, আগামী ২১ জুন সিলেট সিটিতে ইভিএমে ভোট হবে। ইতিমধ্যে মনোনয়নপত্র দাখিল শেষে যাচাই-বাছাইয়ের কাজ শেষ হয়েছে। ১ জুন প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ। ২ জুন প্রতীক বরাদ্দের পর প্রার্থীরা আনুষ্ঠানিকভাবে প্রচার-প্রচারণা শুরু করতে পারবেন।

তবে প্রতীক বরাদ্দের আগেই প্রচারণা শুরু করেছেন এখানকার মেয়র প্রার্থীরা। বিশেষত আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির প্রার্থী প্রতিদিনই গণসংযোগসহ বিভিন্ন প্রচারণা চালাচ্ছেন। প্রতীক বরাদ্দের আগে মহানগর থেকে ব্যানার ফেস্টুন সরানোর নির্দেশ দেয়া হলেও তা অপসারণ করেন নি কেউ।

তবে সোমবার আনোয়ারুজ্জামান ও মঙ্গলবার বাবুল পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দিয়ে আচরণবিধি মানতদে নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *