গত দুই দিন ধরে টানা বৃষ্টি হচ্ছে দেশের বিভিন্ন এলাকায়। কোরবানির ঈদের দিনও ভারী বর্ষণ হয়েছে, ফলে ঈদের নামাজ পড়তে গিয়ে সবাইকে পড়তে হয় বিড়ম্বনায়, অনেক ঈদগাহে নামাজ হয়নি। মসজিদে নামাজ পড়তে হয়েছে। এছাড়াও পশু কোরবানির সময় ভোগান্তি আরও বাড়ে।

বৃষ্টির এই অবস্থা আরও অন্তত দুদিন চলবে বলে বৃহস্পতিবার (২৯ জুন) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানিয়েছে আবহাওয়া বিভাগ।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, রাজধানীতে বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে ৯টা পর্যন্ত ৩ ঘণ্টায় ২২ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। আর গত ২৪ ঘণ্টায় এ নগরে বৃষ্টির পরিমাণ ছিল ১১৫ মিলিমিটার। আজ সারা দিনই রাজধানীর আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকবে। থেমে থেমে বৃষ্টিও হতে পারে। তবে দুপুরের পর বৃষ্টি কিছুটা কমে আসতে পারে।আবহাওয়া অধিদপ্তর ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলেছে, দেশের আট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারী ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হক স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, উত্তরপূর্ব মধ্য প্রদেশ ও এর আশপাশের এলাকায় অবস্থানরত সুস্পষ্ট লঘুচাপটি দুর্বল হয়ে লঘুচাপ হিসেবে একই এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমি বায়ুর অক্ষ পাঞ্জাব-হরিয়ানা-উত্তর প্রদেশ এবং লঘুচাপের কেন্দ্রস্থল বিহার-পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে প্রবল অবস্থায় রয়েছে। এর প্রভাবে রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারী ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারী ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়, রংপুর, দিনাজপুর, রাজশাহী, পাবনা, বগুড়া, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, ঢাকা, ফরিদপুর, যশোর, কুষ্টিয়া, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে দক্ষিণ বা দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টি হয়েছে কুমিল্লায় ১৫৯ মিলিমিটার।  এছাড়া ঢাকায় ১১৫, টাঙ্গাইলে ১৪, ফরিদপুরে ৫৫, মাদারিপুরে ৭, গোপালগঞ্জ ৬৭, নিকলিতে ৩১, রাজশাহীতে ২, বগুড়ায় ২১, বদলগাছিতে ৮, তাড়াশে ৩, রংপুরে ১, দিনাজপুরে ৩৯, তেঁতুলিয়ায় ৫৩, ডিমলায় ২৪, রাজারহাটে ৫৫, ময়মনসিংহে ৪২, নেত্রকোনায় ১০২, সিলেটে ৫৩, সন্দ্বীপে ৩, রাঙামাটিতে ৪, চাঁদপুর ১৭, মাইজদি কোর্টে ৩, ফেনীতে ৩, হাতিয়ায় ১, টেকনাফে ৮, খুলনায় ১০৩, মোংলায় ৪০, সাতক্ষীরায় ৩৯, যশোরে ৭২, চুয়াডাঙ্গায় ৮, কুমারখালিতে ৩৪, বরিশালে ১৯, ভোলায় ১৭ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে। এছাড়া কক্সবাজারে সামান্য বৃষ্টি হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *