‘ভারতীয়’ সন্দেহে জব্দ করা ৬০টি মহিষের পরিচর্যা করতে বার্ডার গার্ড বাংলাদেশকে (বিজিবি) আদেশ দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (৩ আগস্ট) হবিগঞ্জ আমলি আদালতের-১ বিচারক ও সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বিচারক মো. জাকির হোসাইন এ আদেশ দেন।

এর আগে গত ৩১ জুলাই বিজিবি-৫৫ ব্যাটালিয়নের সদস্যরা মহিষগুলো জব্দ করে জেলার মাধবপুর উপজেলার জগদীশপুর এলাকা থেকে।

পরে তারা কাস্টমস বিভাগের মাধ্যমে এগুলো নিলামে তোলার চেষ্টা করলে আদালত গত পহেলা আগস্ট সেই কার্যক্রম স্থগিতের আদেশ দেন।

একইসঙ্গে মহিষগুলো ব্যক্তি মালিকানাধীন কিনা এবং এগুলো জব্দ করার ক্ষেত্রে কোনো অনিয়ম হয়েছে কিনা সেই বিষয়ে বৃহস্পতিবারের মধ্যে প্রতিবেদন দিতেও বিজিবি-৫৫ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।

তবে বেধে দেওয়া সময়ের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দিতে ব্যর্থ হয় বিজিবি। অন্যদিকে বৃহস্পতিবার মহিষগুলোর মালিক সেগুলোকে নিজের জিম্মায় নিতে আবেদন করেন।

আদালতের স্টেনো মোতাহের হোসেন লিলু জানান, যেহেতু বিজিবি কোনো প্রতিবেদন দেয়নি তাই আগামী ৬ আগস্ট মহিষের মালিকের আবেদন শুনানির পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। এ সময়ের মধ্যে ৬০টি মহিষের খাবার এবং পরিচর্যা করতে বিজিবিকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

এদিকে মহিষগুলোর মালিক ও পাইকার বেলাল মিয়া এসব মহিষ কেনার রশিদ এবং রশিদের মূল বই আদালতে উপস্থাপন করেছেন।

তিনি আদালতকে জানান, ২৭ জুলাই সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার বোগলাবাজার থেকে ৩০টি মহিষ কিনেছিলেন। ৩১ জুলাই মহিষগুলো বিক্রির জন্য রাজশাহীতে নিয়ে যাচ্ছিলেন।

সেদিন দুপুর ১২টার দিকে পথে মাধবপুর উপজেলার জগদীশপুর এলাকায় বিজিবির একটি দল তাদের গাড়ি থামায়। এসব বিজিবি সদস্যরা অভিযোগ করে বলেন, এসব মহিষ চোরাই পথে ভারত থেকে আনা হয়েছে। সঙ্গে থাকা কাগজপত্র বিজিবি সদস্যদের দেখালে তারা সেগুলো ছিঁড়ে ফেলে দেন বলে অভিযোগ করেন বেলাল মিয়া।

তবে বিজিবি-৫৫ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল ইমদাদ হোসেন বলেন, “মহিষগুলো ভারত থেকে চোরাই পথে আনা হয়েছে নিশ্চিত হয়েই বিজিবি সেগুলো জব্দ করে।” এক্ষেত্রে কোনো অনিয়ম হয়নি বলেও দাবি করেন তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *