৫০ তম গ্রীষ্মকালীন জাতীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্বের উদ্বোধন করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এমপি। সিলেটে আয়োজিত এ উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টায় সিলেট জেলা স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়। 

উদ্বোধনকালে দৃষ্টিনন্দন ডিসপ্লে প্রদর্শন করা হয়।

বাংলাদেশ জাতীয় স্কুল, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা ক্রীড়া সমিতির উদ্যোগে আয়োজিত এ ক্রীড়া উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী এমপি, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. কামাল হোসেন এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব সোলেমান খান।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ জাতীয় স্কুল, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা ক্রীড়া সমিতির সভাপতি এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ।

পাঁচদিনব্যাপী এ প্রতিযোগিতার সমাপনী অনুষ্ঠান আগামী ১ অক্টোবর সিলেট আবুল মাল আব্দুল মুহিত ক্রীড়া কমপ্লেক্সে অনুষ্ঠিত হবে।

এ বিষয়ে গতকাল মঙ্গলবার সিলেট মহানগরের একটি অভিজাত হোটেলে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ জাতীয় স্কুল, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা ক্রীড়া সমিতির উদ্যোগে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়- ৫০তম গ্রীষ্মকালীন জাতীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতার সবগুলো ইভেন্ট মিলিয়ে প্রায় চার লাখ শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেছে। তাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি অংশগ্রহণকারী ফুটবলে প্রায় দুই লাখ। কাবাডি ও হ্যান্ডবলে প্রায় সত্তর হাজার অংশগ্রহণ করে। সাঁতারে প্রায় ৪৫ হাজার ও দাবাতে ১৫ হাজার অংশগ্রহণ করে। তাদের মধ্যে তিনটি ইভেন্টে (ফুটবল, কাবাডি, হ্যান্ডবল) ৬ সহ¯্রাধিক চৌকস-মেধাবী খেলোয়াড় বাছাই করা হচ্ছে। অনুর্ধ্ব-১৭ বছরের এই খেলোয়াড়দের মধ্যে প্রায় ৩ হাজার ছাত্র এবং ৩ হাজার ছাত্রী। সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহ থেকে দেশব্যাপী এ প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে।

প্রতিযোগিতাটি প্রথম শুরু হয় স্কুল/মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পর্যায়ে, তারপর প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে টিম নিয়ে (একক/দলীয়) উপজেলা এবং মহানগরীর ২০টি থানা পর্যায়ে বিজয়ী দল জেলা পর্যায়ে অংশগ্রহণ করে। জেলা পর্যায়ের দলগুলো ৯টি উপ-অঞ্চলে ভাগ হয়ে খেলায় অংশগ্রহণ করে। উপ-অঞ্চলের চ্যাম্পিয়ন দলগুলো ৪টি অঞ্চলে বিভক্ত হয়ে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে। পদ্মা, গোলাপ, চাঁপা ও বকুল -এ ৪টি অঞ্চলের বিজয়ী দল আজ বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) থেকে সিলেট শহরের বিভিন্ন ভেন্যুতে প্রতিযোগিতায় অবতীর্ণ হবে।

প্রতিযোগিতার বিভিন্ন পর্যায় অতিক্রম করে বিভিন্ন ইভেন্টে মোট ৪৯৬ জন খেলোয়াড় জাতীয় পর্যায়ে অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েছে। জাতীয় পর্যায়ের খেলাগুলো আজ থেকে ১ অক্টোবর পর্যন্ত সিলেট শহরের বিভিন্ন ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *