বিয়ানীবাজারে ৯০ টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে দেশী হাঁসের ডিমের হালি। যা অতীতের সকল রেকর্ড অতিক্রম করেছে। ডিম কিনতে গিয়ে দাম শুনে অনেককে ফিরে আসতে হচ্ছে।

এদিকে আলুর কেজি এখানে বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা দরে। ক্রমেই বাড়ছে ডিম আর আলুর দাম। পেয়াঁজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮৫ টাকা দামে।

এসব পণ্যের দাম সরকার নির্ধারিত করার প্রায় দুই মাস পরেও তা বাস্তবায়ন সম্ভব হয়নি। বরং এই সময়ের মধ্যে পেঁয়াজ ও ডিমের দাম বেড়েছে।

বাজারগুলো থেকে জানা যায়, যখন দাম নির্ধারণ করা হয়েছিল, তখন বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম ছিল ৭০ থেকে ৮০ টাকার মধ্যে, যা এখন ৮৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

স্থানীয় বাজারে মূল্য নিয়ন্ত্রণে প্রশাসন একদিন অভিযান পরিচালনা করলেও তা আর চোখে পড়েনি। ফলে বিয়ানীবাজারে হু হু করে বাড়ছে পণ্যের দাম।

বিয়ানীবাজার পৌরশহরের বাইরে থেকে এসব পণ্য বিক্রি করলে কিছুটা কম দামে তা পাওয়া যায়। কিন্তু পৌরশহর এলাকায় আকাশচুম্বি দাম নিয়ন্ত্রণে সবাই নীরব রয়েছে।
এদিকে বাজারে শীতকালীন সবজি চলে এসেছে। তবে এরমধ্যে হাতেগোনা কিছু সবজির দামই নাগালের মধ্যে, বাকি সব সবজির দাম আকাশছোঁয়া। বাজারে প্রতি কেজি শিম ২০০ টাকা, চায়না গাজর ১৪০ টাকা, মুলা ৬০-৭০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। প্রতি পিস ফুলকপি ও বাঁধাকপির দাম ৬০ টাকা। এ ছাড়া, প্রতি কেজি গোল বেগুন ১০০ টাকা, লম্বা বেগুন ৮০ টাকা, বরবটি ১০০ টাকা, করলা ৮০ টাকা, পটল ৬০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ টাকা, পেঁপে ৪০ টাকা, ঝিঙে ৬০ টাকা, ধুন্দল ৬০ টাকা, কচুরমুখী ৯০ টাকা এবং কচুর লতি ৮০ টাকা দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে। প্রতি পিস জালি কুমড়া (চাল কুমড়া) ৬০ টাকা ও লাউ ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *