সিলেটের কানাইঘাটে এক প্রবাসীর বসত ঘর পুড়ে আনুমানিক ১৫ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) রাত আড়াইটার দিকে উপজেলার ঝিঙ্গাবাড়ী ইউনিয়নে আগতালুক গ্রামে এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে।

ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, পল্লীবিদ্যুৎ এর মিটারের সর্টসার্কিট থেকে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। আগতালুক গ্রামের মাও. আব্দুল জলিলের পুত্র সৌদিআরব প্রবাসী আলিম উদ্দিন জানান, শুক্রবার রাত ১০টার দিকে খাবার খেয়ে তিনি সহ তার স্ত্রী, ছোট ভাই মাসুদ উদ্দিন সহ ৪ জন নিজ নিজ কক্ষে শুয়ে পড়েন। রাত অনুমান আড়াইটার দিকে আগুনের তাপে ঘুম ভাঙলে বসত ঘরের চারদিক থেকে আগুনের লেলিহান শিখা দেখে ঘর থেকে কোনমতে বের হয়ে তারা প্রাণে রক্ষা পান। তাদের আর্তচিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে ঘরের আগুন নেভানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। মুহুর্তের মধ্যে আগুন পুরো বসত ঘরে ছড়িয়ে পড়লে ঘরে থাকা নগদ টাকা, ৪ ভরি স্বর্ণালংকার, পাসপোর্ট, সৌদি আরবের ভিসা-টিকেট, দলিল-পত্রাদিসহ সমস্ত আসবাবপত্র পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এতে আনুমানিক ১৫ লক্ষ টাকার মতো ক্ষতি হয়।

সৌদি প্রবাসী আলিম উদ্দিন ও তার ছোট ভাই মাসুদ উদ্দিন জানান, অগ্নিকান্ডের পূর্বের দিন বৃহস্পতিবার কানাইঘাট গাছবাড়ী পল্লীবিদ্যুৎ অফিসের লোকজন তাদের বসত ঘরের পূর্বের বৈদ্যুতিক মিটারটি বিদ্যুৎ বিল কম আসার কারনে খুলে নেয়ার জন্য বাড়িতে আসেন। তাদের আপত্তির মুখে পল্লীবিদ্যুৎ এর লোকজন বসত ঘরে নতুন মিটার সংযোগ দেন। পরদিন শুক্রবার রাত আড়াইটার দিকে এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে এবং আগুনের সূত্রপাত বৈদ্যুতিক মিটারের সর্টসার্কিট থেকে হয়েছে।

তারা আরো অভিযোগ করে বলেন, অগ্নিকান্ডের সময় তাৎক্ষণিক ভাবে বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করার জন্য পল্লীবিদ্যুৎ অফিসে ফোনে জানানোর পরও তারা বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করেননি। পরবর্তীতে ৯৯৯ এ ফোন দেয়ার পর বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করা হয়। তাৎক্ষণিক ভাবে বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ না করায় তাদের পরিবার বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে।

ঝিঙ্গাবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু বক্কর বলেন, প্রবাসী আলিম উদ্দিনের বসত ঘর আগুনে পুড়ে ভষ্মিভূত হওয়ার পর তিনি ঘটনাটি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারজানা নাসরিন এবং প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাকে জানিয়েছেন। পল্লীবিদ্যুতের গাফিলাতির কারনে এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটতে পারে। বিদ্যুৎ জনিত দুর্ঘটনা ঘটলে স্থানীয় পল্লীবিদ্যুৎ অফিসে যোগাযোগ করা হলেও অনেক সময় তারা সাড়া দেন না। অগ্নিকান্ডের ঘটনাটি সুষ্ঠু তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ সহ অগ্নিকান্ডে নিঃস্ব হয়ে যাওয়া প্রবাসীর পরিবারকে সরকারের পক্ষ থেকে সহযোগিতার আহ্বান জানান তিনি।

ইউপি চেয়ারম্যান আবু বক্কর অগ্নিকান্ডের ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পরিবারের সদস্যদের সান্তনার পাশাপাশি ইউনিয়ন পরিষদ তহবিল থেকে ৫ হাজার টাকা অনুদান দিয়েছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *