বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের প্রেসিডেন্ট হিসেবে নাজমুল হাসান পাপনের পথচলা দীর্ঘদিনের। ক্রিকেটের ভালো মন্দের সঙ্গে তার নাম জড়িয়ে আছে।
পাপনের দীর্ঘ পথচলায় ক্রিকেট বোর্ডের কিছু সিদ্ধান্তের সমালোচনা হচ্ছে বারবার। বিশেষ করে খেলোয়াড় বাছাই নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
এবারের বিশ্বকাপে অভিজ্ঞ ওপেনার তামিম ইকবালের না খেলা, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে প্রথম ম্যাচগুলোতে বসিয়ে রাখা-এসব সিদ্ধান্তে পাপনের দায় দেখছেন অনেকে।
সবমিলিয়ে এবার ক্রিকেট বোর্ড ছাড়ার ঘোষণাই দিয়ে রাখলেন নাজমুল হাসান পাপন।
নিজের বিসিবি ক্যারিয়ার নিয়ে বড় ঘোষণাই দিয়ে রাখলেন বোর্ড সভাপতি।
নিজ বাসার সামনে গণমাধ্যমকর্মীদের মুখোমুখি হয়ে পাপন বলেন, এই টার্ম তো আর বেশিদিন নাই। আমি আর বেশিদিন নাই বিসিবিতে।
এই সময়ে নিজের পরিকল্পনা নিয়ে বিসিবি প্রধান বলেন, আমার প্ল্যান হচ্ছে, আর একটা বছর আছে। এবং এরমধ্যে যাওয়ার আগে অবশ্যই টিমকে ঠিক করে যাব। যা যা করা দরকার এটা আমি করে যাব। সেটা ঠিক হবে কিনা আমি জানি না। আমি যেটা মনে করি, এটা করা দরকার, সেটা যদি অনেক কঠিন সিদ্ধান্তও হয়, সেটাও নেব।
বিসিবি সভাপতি যদিও বলছেন তার মেয়াদ আর এক বছর, আদতে তার মেয়াদ আছে আরও দুই বছর। বিসিবির সবশেষ নির্বাচন হয়েছে ২০২১ সালের অক্টোবরে, পরেরটি হওয়ার কথা ২০২৫ সালের অক্টোবর বা নভেম্বরে।
২০১২ সালে প্রথমে সরকারের মনোনয়নে বিসিবি সভাপতির দায়িত্ব পান তিনি। পরের বছরই নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতে বোর্ডের প্রথম নির্বাচিত সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব নেন। পরে ২০১৭ ও ২০২১ নির্বাচনেও বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতে সভাপতি হন তিনি। গতবার নির্বাচনের আগেও তিনি বেশ কয়েকবার বলেছেন, সভাপতির দায়িত্বে আর থাকতে চান না।