সারাদেশের ন্যায় বিয়ানীবাজরেও জেঁকে বসেছে শীত। এতে ব্যাহত হচ্ছে এখানকার মানুষের স্বাভাবিক জনজীবন।
তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের উপরে থাকলেও শিক্ষা প্রতিষ্টানে উপস্থিতি অনেক কমেছে।
তীব্র শীতে জরুরি কাজ ছাড়া লোকজন বের হচ্ছে না। হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে ঠান্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা। কাজে যেতে অপরিসীম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন দরিদ্র ও নিম্ন আয়ের মানুষ। উপজেলায় গত কয়েকদিন থেকে দুপুরের আগে রোদের দেখা মিলছেনা। আর রোদ উঠলেও তাতে তাপ নেই।
বিয়ানীবাজারে গত এক সপ্তাহ ধরে সন্ধ্যার পরই শীতের তীব্রতা বেড়ে যায়; সেই সঙ্গে কুয়াশাও থাকছে। বিকাল থেকে তাপমাত্রা কমতে শুরু করে; রাতে খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত থেকে রক্ষার চেষ্টা করেন শীতার্তরা। ঘনকুয়াশার কারণে দিনের বেলায়ও সড়কে গাড়ি চলছে হেডলাইট জ্বালিয়ে। বেশির ভাগ সময়ই জনশূন্য থাকছে ব্যস্ততম সড়ক ও হাটবাজার।
পৌরশহরের সুপাতলা গ্রামের বাসিন্দা লিটন বলেন, “প্রচুর শীত পড়েছে; সবাইকে একেবারে কাবু করে ফেলেছে। আসলে কিছু করার নেই।”
বিয়ানীবাজার উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান জামাল হোসেন জানান, কম আয়ের মানুষদের জন্য সরকারি ও বেসরকারি ভাবে শীতের শুরু থেকেই গরম কাপড় বিতরণ করা হচ্ছে। গত এক সপ্তাহে পাঁচ হাজার কম্বল বিতরণ করা হয়েছে।
সংসার চালাতে প্রচণ্ড শীতের মধ্যে কাজের সন্ধানে ছুটছেন অটোচালক আমির হোসেন। তিনি বলেন, “কনকনে শীতে হলেও উপার্জন করার জন্য তো বের হতেই হচ্ছে।” জয়নাল নামের আরেক চালক বলেন, “যে হারে ঠান্ডা বাতাস বইছে তাতে সবার চলাচল করতে খুব সমস্যা হচ্ছে।”
শীতের দাপটে বিপাকে পড়েছে উপজেলার খেটে খাওয়া মানুষ। তাদেরই একজন সারোপার গ্রামের কৃষি শ্রমিক নজরুল ইসলাম। তিনি বলেন, “সকাল থাকি শিরশির বাতাস বইছে, হাত-পা কোকড়া হওয়ার অবস্থা।”
বিয়ানীবাজার উপজেলা নির্বাহী অফিসার আয়েশা আক্তার জানান, ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানদের সমন্বয়ে গ্রামীণ এলাকায় শীতার্থ মানুষের মধ্যে কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। বেসরকারিভাবেও নিজ অবস্থান থেকে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আহবান জানান তিনি।