রাজনৈতিক মামলায় ঘরছাড়া সিলেট বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের বেশিরভাগ নেতাকর্মী। কারাগারেও আছেন অনেকে। এই অবস্থায় কেন্দ্রের নির্দেশে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর আজ শনিবার (২৭ জানুয়ারি) প্রথম সিলেটে মাঠে নামছে বিএনপি। বেলা ২টায় সিলেট জেলা ও মহানগর বিএনপির কালো পতাকা মিছিল অনুষ্ঠিত হবে। ‘কোনঠাসা’ অবস্থায় আজ কর্মসূচিতে নেতাকর্মীদের উপস্থিতি ঘটানোই সিলেট বিএনপির বড় চ্যালেঞ্জ বলে মনে করছেন রাজনীতিসচেতনরা।
তবে সব ভয়কে জয় করে বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী কর্মসূচিতে উপস্থিত হবেন বলে জানিয়েছে জেলা বিএনপি সূত্র।
জানা গেছে, দ্রব্যমূল্যের সীমাহীন উর্ধ্বগতি, বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াসহ রাজনৈতিক মামলায় সকল বন্দীদের মুক্তি, সকল মামলা প্রত্যাহার ও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ বাতিলেল দাবিতে শনিবার বেলা ২টায় সিলেট মহানগরের রেজিস্ট্রি মাঠ থেকে জেলা ও মহানগর বিএনপির কালো পতাকা মিছিল বের হবে। এর আগে সেখানে সভা অনুষ্ঠিত হবে। মিছিলটি বন্দর-জিন্দাবাজার ঘুরে চৌহাট্টাস্থ সিলেট কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে গিয়ে শেষ হবে। পরে সেখানে অনুষ্ঠিত হবে আরেকটি সভা। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখবেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু।
এছাড়া খালেদা জিয়ার দুই উপদেষ্টা খন্দকার আবদুল মুক্তাদির ও সিলেট সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীসহ সিলেট বিএনপির শীর্ষ নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখবেন বলে জানা গেছে।
সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী শনিবার সকালে সিলেটভিউ-কে বলেন- কোনো হামলা-মামলা বিএনপিকে দমাতে পারবে না। আজকের কর্মসূচিতে বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী উপস্থিত হবেন। দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়েই ঘরে ফিরবে বিএনপি।
এদিকে, বিএনপির কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে সিলেটে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে পুলিশ। এ বিষয়ে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (এসএমপি) মিডিয়া কর্মকর্তা পুলিশ সুপার (সুপারনিউমারারি) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম সিলেটভিউ-কে বলেন- সিলেটে কেউ যাতে কোনো বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পারে সে বিষয়ে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে পুলিশ। বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করলে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন- যে কোনো মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামিকে ধরাই পুলিশের কাজ। এটি মহামান্য আদালতের নির্দেশ। আজ যদি বিএনপির কর্মসূচিতেও কোনো ওয়ারেন্টভুক্ত আসামির উপস্থিতি ঘটে তবে তাকেও আমরা ধরবো।
উল্লেখ্য, নতুন দফায় গত বছরের ২৮ নভেম্বর থেকে চলমান আন্দোলনের প্রেক্ষিতে সিলেটে বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ৬৮টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এসব মামলায় আসামি হয়েছেন কয়েক হাজার নেতাকর্মী। কারাগারে বন্দী আছেন প্রায় ৩’শ জনের মত। আর ফেরারি জীবন যাবন করছেন বাদবাকিরা।
সবচেয়ে বেশি মামলা হয়েছে বিএনপির অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। কারণ- বিএনপির ডাকে টানা দুই মাসের আন্দোলনে অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরাই রাজপথে বেশি সক্রিয় ছিলেন। তবে এবার শুরু থেকেই মামলায় জর্জরিত নেতাকর্মীকে আইনি সহায়তা দিচ্ছে দলটির গঠিত ‘আইনি সহায়তা সেল’।
সূত্রঃ সিলেট ভিউ