পায়ে হেঁটে দীর্ঘ ১৫০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে সিলেটে এসেছেন ‘আমরা স্কাউট গ্রুপ’ ঢাকার ২ জন রোভার। টানা ৫ দিনে তারা উল্লিখিত পথ পরিভ্রমণ করেন।

এ উদ্দেশ্যে তারা গত ০১ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক এর কার্যালয় থেকে যাত্রা শুরু করে আজ ৫ ফেব্রুয়ারি সোমবার সিলেট জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে যাত্রা শেষ করেন।

পরিভ্রমণকালে তারা ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও সিলেট জেলার জেলা প্রশাসক এর সঙ্গে সৌজন্যে সাক্ষাৎ করেন।

পথিমধ্যে তারা মাধবপুর ডাকবাংলো, দিনারপুর কলেজ, গোয়ালাবাজার হাই স্কুল এবং শেষ দিনে সিলেট ডাকবাংলোতে রাত্রিযাপন করেন।

রোভার স্কাউটিংয়ের সর্বোচ্চ অ্যাওয়ার্ড ‘প্রেসিডেন্ট’স রোভার স্কাউট’ অর্জনের জন্য একজন রোভারকে ছয়টি পারদর্শিতা ব্যাজ অর্জন করতে হয়। এই পারদর্শিতা ব্যাজগুলোর অন্যতম ‘পরিভ্রমণকারী ব্যাজ’। যেটি অর্জন করতে একজন রোভারকে পায়ে হেঁটে ৫ দিনে ১৫০ কিলোমিটার পরিভ্রমণ করতে হয়।

পথিমধ্যে মানুষের সাথে সরাসরি কথা বলার মাধ্যমে সমাজের ইতিবাচক পরিবর্তনের বার্তা পৌঁছে দেন। উল্লেখযোগ্য বার্তা ছিল- ‘পলিথিন ব্যবহার এ বিরত থাকুন-জীববৈচিত্র টিকিয়ে রাখুন, ডেঙ্গু মুক্ত সমাজ গড়ুন-সবাই মিলে সুস্থ থাকুন’।

এছাড়াও পথে তারা বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, গুরুত্বপূর্ণ সরকারি ও বেসরকারি অফিস ইত্যাদি পরিদর্শন করার পাশাপাশি গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।

পরিভ্রমণকারী দলের দলনেতা মো. আলী তানভীর বলেন, রোভাররা যেকোনো পরিস্থিতিতে নিজেকে মানিয়ে নিতে জানেন। এই শিক্ষা হাতে–কলমে শেখা যায় পরিভ্রমণে। ১৫০ কিলোমিটার পরিভ্রমণ এর এই ৫ দিন তার জীবনে এক অন্যতম স্মৃতি বিজারিত দিন হিসেবে রয়ে যাবে আজীবন।

দলের ২য় সদস্য মো. শুভ তালুকদার বলেন, রোভারিংয়ের সর্বোচ্চ অ্যাওয়ার্ড প্রেসিডেন্ট’স রোভার স্কাউট অর্জন এবং এই রুটের মানুষের জীবনাচার, ইতিহাস, ঐতিহ্য জানা ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্য অবলোকনের লক্ষ্যেই এই যাত্রা।

উল্লেখ্য, ইতিমধ্যে তারা প্রত্যেক এ স্কাউট শাখার সর্বোচ্চ সম্মাননা প্রেসিডেন্ট’স স্কাউট অ্যাওয়ার্ড অর্জন করেছে এবং তারা উভয়ই আশাবাদী রোভার শাখার সর্বোচ্চ সম্মাননা প্রেসিডেন্ট’স রোভার স্কাউট অ্যাওয়ার্ড অর্জন করতে সক্ষম হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *