মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় বিয়ের ৮ মাসের মাথায় সেবিনা আক্তার রুলী (২৩) নামে এক গৃহবধূকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে। গত ২৯ ফেব্রুয়ারি উপজেলার লস্করপুর গ্রামে ঘটনাটি ঘটে।

এ ঘটনায় নিহত রুলীর চাচা রেনু মিয়া বাদী হয়ে থানায় শুক্রবার একটি হত্যা মামলা দায়ের করলে রুলীর স্বামী কামরুল ইসলাম ও স্বামীর ভাবি শাহনা বেগমকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

থানায় রেনু মিয়ার করা মামলা সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার গাজীপুর গ্রামের মৃত আব্দুল মতিনের মেয়ের সাথে গত ৮ মাস পূর্বে লস্করপুর গ্রামের মৃত ছত্তার আলীর পুত্র কামরুল ইসলামের (২৮) বিয়ে হয়। বিয়ের সময় স্বামীর চাওয়া উপহারের সব দাবি পরিশোধ করা হয়। কিন্তু বিয়ের পর থেকেই স্বামীর বাড়ির লোকজনের অত্যাচারের শিকার হন রুলী। কয়েকমাস পূর্বে কামরুল তার ভাবির সাথে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে। বিষয়টি জানার পর রুলী এতে বাধা দিলে নির্যাতনের মাত্রা আরও বাড়তে থাকে। গত ১ মাস পূর্বে এ নিয়ে স্বামীর বাড়িতে সালিশ বৈঠকে ঘটনার মিমাংসা হয়।

গত ২৯ ফেব্রুয়ারি রুলীর স্বামীসহ তার বাড়ির লোকজনেরা রুলীকে হত্যা করে সে মারা গেছে বলে রুলীর পরিবারকে জানানো হয়। পরে রুলীর শরীরে আঘাতের চিহ্ন দেখে বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়। শুক্রবার (১ মার্চ) পুলিশ রুলীর মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কুলাউড়া থানার এসআই আতিকুল আলম খন্দকার জানান, গৃহবধূ হত্যার ঘটনায় স্বামী ও স্বামীর ভাবিকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *