৩০ রোজা পূর্ন হওয়ার সম্ভাবনা থাকায় আগামী ১১ এপ্রিল সারাদেশের ন্যায় বিয়ানীবাজারেও পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে। দীর্ঘ এক মাস সিয়াম সাধনার পর ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা এ দিন নতুন পোশাক পরিধান করে, গায়ে আতর মেখে ও হাতে জায়নামাজ নিয়ে নিজ নিজ এলাকার ঈদগাহ ময়দানে ছুটে যাবেন-এটাই চিরাচরিত দৃশ্য।

ঈদের দিন সকালটা শুরু হয় ঈদের নামাজ আদায়ের মধ্য দিয়ে। উৎসবের ঈদের সচরাচর ঈদগাহতে বিশাল সমাগম হয়। এবার বড় ধরণের কোন বিধিনিষেধ না থাকায় বিয়ানীবাজার উপজেলার শতাধিক ঈদগাহ ও জামে মসজিদে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে।

স্থানীয় ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সুপারভাইজার আব্দুর রহমান জানান, উপজেলায় ৫২টি ঈদগাহ ময়দান ছাড়াও ৫০২টি জামে মসজিদ রয়েছে। একেকটি ঈদগাহর অধীনে আবার ৫-৬টি জামে মসজিদের মুসল্লীরা ঈদের নামাজ আদায় করেন। সে হিসেবে অন্তত: দেড় শতাধিক স্থানে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

বিয়ানীবাজার পৌরশহরের সবচেয়ে বড় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয় কসবা এলাকার ঐতিহ্যবাহী হযরত গোলাবশাহ (রহ) হাফিজিয়া মাদ্রাসার ইমামবাড়ি শাহী ঈদগাহ মাঠে। এছাড়াও শ্রীধরার সৈয়দ শাহ ঈদগাহ ময়দান, ফতেহপুরের হায়দর শাহ (র) ঈদগাহ ময়দান, আকাখাজনা ঈদগাহ ময়দান, বৈরাগীবাজার সিনিয়র মাদ্রাসা সংলগ্ন হযরত দুদাশা (রঃ) মাঠ, বৈরাগীবাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ, আরিজখাঁটিলা ঈদগা মাঠ, গড়রবন্দ লোলার পার জামে মসজিদ, হাতিটিল্লাহ জামে মসজিদ, কিয়াছারা জামে মসজিদ, গড়রবন্দ বন্দের জামে মসজিদ, লাউঝারী জামে মসজিদ, ঈদ দক্ষিণ মাথিউরা শাহী ঈদগাহ বড়দেশ শাহী ঈদগাহ, বিয়ানীবাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ, উপজেলা মসজিদ, মোল্লাপুর জামে মসজিদ, সিলেটি পাড়া বায়তুল আমান কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ, দাসউরা বায়তুস সালাম জামে মসজিদ, মাটিজুরা ঈদগাহসহ শতাধিক ঈদগাহ-জামে মসজিদে ঈদের জামাতের সর্বাত্মক প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *