সিলেট শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে আবাসিক হলে মধ্যরাতে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় চার ছাত্রলীগ নেতাকর্মীকে হল থেকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এ ঘটনার অধিকতর তদন্তের জন্য তিন সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে। 

বুধবার (২২ মে) দুপুর দেড়টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহপরাণ হলের প্রভোস্ট স্থপতি কৌশিক সাহা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন৷

তিনি বলেন, মঙ্গলবার রেজিস্ট্রার স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ বহিষ্কারাদেশ দেওয়া হয়েছে। নিজ নিজ হলের পাশাপাশি ওই শিক্ষার্থীরা অন্য কোন হলেও প্রবেশ করতে পারবে না। 

সাময়িক বহিষ্কৃতরা হলেন- বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের আবাসিক ছাত্র ও রসায়ন বিভাগের স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী মো. সাজ্জাতুল ইসলাম সিফাত, একই বিভাগের স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী ও শাহপরাণ হলের আবাসিক ছাত্র মো. মাহফুজুল আলম, শাহপরাণ হলের আবাসিক ছাত্র ও ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী  মো. রাকিবুল হাসান এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের আবসিক ছাত্র ও বাংলা বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী সৈয়দ সাকিবুর রহমান। তারা সকলেই বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি নাজমুল হুদা শুভয়ের অনুসারী বলে ক্যাম্পাসে পরিচিত। এর মধ্যে সৈয়দ সাকিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতির দায়িত্বে রয়েছেন। 

প্রভোস্ট কৌশিক সাহা বলেন, গত ১৩ তারিখে অন্য হলের কিছু শিক্ষার্থী এসে শাহপরাণ হলের ২২৩ নম্বর কক্ষের ভর্তিকৃত ছাত্রদেরকে হল থেকে নামিয়ে দিতে চেয়েছিল। এর জেরে হলে একটি উত্তেজনাকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। পরে ওইদিন প্রক্টরিয়াল বডি ও হল প্রভোস্ট বডি গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেন। এ ঘটনার আমরা প্রাথমিক তদন্ত করি। প্রাথমিক তদন্তের ভিত্তিতে চারজনকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। 

তিনি বলেন, এ ঘটনার অধিকতর তদন্তের জন্য অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ মাহবুবুল হাকিমকে প্রধান করে ৩ সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। 

রেজিস্ট্রার স্বাক্ষরিত অফিস আদেশে বলা হয়, শাহপরাণ হলে গত ১৩ ই আনুমানিক রাত ১১টায় কতিপয় শিক্ষার্থীর মধ্যে আকস্মিক উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে ঘটনার প্রাথমিক তদন্তে দোষী প্রমাণিত হওয়ায় ৪ শিক্ষার্থীকে হল থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হলো। 

শাহপারণ হলের আবাসিক শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ১৩ মে মধ্যরাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহপরাণ হলের ২২৩ নম্বর কক্ষের দলীয় তিন কর্মীকে হল থেকে নামিয়ে দিতে ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি নাজমুল হুদা শুভয়ের ২০ থেকে ২৫ জন অনুসারী যান। এতে বাধা দেন শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সজিবুর রহমানের কয়েকজন অনুসারী ৷ এসময় দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ঘটলে প্রক্টরিয়াল ও প্রভোস্ট বডি গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *