চারটি হাত এক হয়ে তিন কথার বাঁধনে জড়িয়ে মৃত্যু পর্যন্ত কাটিয়ে দেওয়ার উচ্ছল স্বপ্নে বিয়ে করেছিলেন মো. মিনহাজ উদ্দিন (২৩)। কিন্তু বিয়ের কিছুদিনের মধ্যেই ডিভোর্স লেটার পাঠাবেন স্ত্রী, এটি তিনি স্বপ্নেও ভাবতে পারেননি। কিন্তু ঘটেছে তাই। কানাডায় গিয়েই স্ত্রী পাঠালেন ডিভোর্স লেটার। সেই কষ্ট সইতে না পেরে অভিমান করে না ফেরার দেশে চলে গেলেন মিনহাজ।
বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) সকাল ৯টার দিকে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
মিনহাজ সিলেট মহানগরের কাজিটুলাস্থ বিহঙ্গ আবাসিক এলাকার ৭১ নং বাসার জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে। তারা এ বাসায় ভাড়াটে হিসাবে বসবাস করেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, মিনহাজ প্রতিদিনের ন্যায় বুধবার রাতে খাবার খেয়ে নিজের শয়নকক্ষে ঘুমাতে যান। সকাল ৮টার দিকে পরিবারের সদস্যরা তাকে বার বার ডাকার পরও দরজা না খুললে তারা কোতোয়ালি থানাপুলিশকে খবর দেন। সকাল ৯টার দিকে পুলিশ এসে দরজা খুলে কক্ষের জানালার গ্রিলের সঙ্গে ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় মিনহাজের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, মিনহাজের স্ত্রী কিছুদিন আগে কানাডায় গেছেন। সেখানে গিয়েই তিনি মিনহাজকে ডিভোর্স লেটার পাঠান। ফলে অভিমানে আত্মহত্যা করেছেন মিনহাজ।
সিলেট কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মঈন উদ্দিন সিপন নিউজ ডটকম-কে বলেন- খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে লাশটি উদ্ধার করেছে। লাশের ময়না তদন্ত হবে। পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা বা অভিযোগ দিলে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বৈরাগীবাজার নিউজ ডটকম।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.