এবারের বন্যায় ব্যাপক আলোচিত ছিল রাসেল ভাইপার সাপ এবং এ সাপে দংশন করলে তার প্রতিষেদক এন্টিভেনম হাসপাতালে নেই এ নিয়ে ছড়িয়েছিল আতংক। যদিও সেটি মোটেও সঠিক নয়। রাসেল ভাইপার সাপের এন্টিভেনম সারা দেশের স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সাথে বিয়ানীবাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রয়েছে। চলতি বন্যায় রাসেল ভাইপার না হলেও বিষাক্ত সাপের দংশনের শিকার এরকম সাতজন রোগীকে সেবা দিয়েছে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে।
সিলেটে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হলেও ভেসে উঠছে বন্যার ক্ষয়ক্ষতি। এক মাসের মধ্যে তিনদফা বন্যায় পানি বাহিত রোগ মোকাবেলা করতে ১১টি মেডিকেল টিম কাজ করেছে। একই সাথে পানিবাহিত রোগ নিয়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসা রোগীদের সেবা ও প্রয়োজনীয় ঔষধ প্রদান করা হচ্ছে জানিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ মনিরুল হক খান বলেন, প্রতিদিন গড়ে ৫ থেকে ৬জন পানিবাহিত রোগে আক্রান্তদের সেবা দেয়া হচ্ছে।
বন্যার পানি কমার সাথে সাথে প্লাবিত এলাকায় নানা ধরনের রোগে প্রকোপ দেখা দিতে পারে জানিয়ে ইউএইচও বলেন, বন্যা-পরবর্তী ১০ দিনে নিউমোনিয়া, শ্বাসনতন্ত্রের রোগ, ডায়রিয়া, কলেরা আক্রান্ত রোগীদের সেবা প্রদানের জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বন্যাজনিত রোগীরা সেবা নিচ্ছেন। সঠিক চিকিৎসা সেবা পেয়ে খুশি তারা।
বর্তমানে দেশজুড়ে রাসেল ভাইপার আতঙ্ক সময় কাটছে দেশবাসীর। এর প্রভাবও পড়েছে বিয়ানীবাজারে। আতংকিত না হয়ে সাপে কাটা রোগীকে কোন ধরনে ওজা বা ঝাড়ফুক না করে দ্রুত সময়ের মধ্যে হাসপাতালে নিয়ে আসার অনুরোধ করেন ইউএইচও মোহাম্মদ মনিরুল হক খান।
শুধু সাপে কাটা রোগী নয়, যেকোন ধরনের রোগে আক্রান্তদের দ্রুত হাসপাতাল নিয়ে আসা এবং সেবা গ্রহণ করার অনুরোধ সংশ্লিষ্টদের।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.