এক সপ্তাহের ব্যবধানে ভারি বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে সুনামগঞ্জের নদ-নদীর পানি বেড়েছে। এরই মধ্যে নিম্নাঞ্চলে পানি প্রবেশ করেছে।
সোমবার (১ জুলাই) সকালে জেলার সুরমা ও যাদুকাটা নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করছে। পাহাড়ি ঢলের কারণে তাহিরপুর, বিশ্বম্ভরপু্র ও দোয়ারাবাজার এলাকার সড়ক ডুবে ব্যাহত হচ্ছে যান চলাচল।
সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার জানান, সুরমা নদীর পানি সুনামগঞ্জ পয়েন্টে বিপৎসীমার ৩ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আর ছাতক পয়েন্টে প্রবাহিত হচ্ছে ২৩ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে।
এছাড়া যাদুকাটা নদীর পানি ৯৬ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
রোববার সকাল ৯টা থেকে সোমবার সকাল ৯টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ১৭০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে জানিয়ে মামুন বলেন, “ভারতের চেরাপুঞ্জিতেও ৩১৩ মিলিমিটার ভারি বৃষ্টিপাত হয়েছে।
এই পানি দ্রুত সুনামগঞ্জে নেমে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
আগামী ৬ জুলাই পর্যন্ত এই অঞ্চলে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানান এ নির্বাহী প্রকৌশলী।
সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রাশেদ ইকবাল চৌধুরী বলেন, “পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় তাহিরপুর-বিশম্ভরপুর সড়কের ১০০ মিটার সড়ক ডুবে গেছে। এতে যান চলাচল ব্যাহত হওয়ায় স্থানীয় লোকজন বিপাকে পড়েছেন।
এছাড়া দোয়ারাবাজার সীমান্ত এলাকার সড়কগুলো প্লাবিত হওয়ায় ও ভেঙে যাওয়ায় যান চলাচল ব্যাহত হচ্ছে।
বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলায় আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.