দেখা বাংলাদেশ থেমেছে সুপার এইটে গিয়ে। আফগানিস্তানের বিপক্ষে জয় দরকার ছিল ১২.১ ওভারে। কিন্তু নিজেদের খামখেয়ালি আচরণের কারণে সুযোগ থাকলেও বাংলাদেশ সুপার এইট থেকেই বিদায় নিলো শেষ পর্যন্ত। ৭ ম্যাচে ৩ জয় আর ৪ হারে ইতি ঘটলো বাংলাদেশের বিশ্বকাপ মিশনের।

বিশ্বকাপের পর এখন চলছে পরিসংখ্যান আর প্রাপ্ত তথ্যের বিশ্লেষণ। সংখ্যাতত্ত্বের সেই বিশ্লেষণে দেখা গেল ভিন্নরকমের এক তথ্য। পুরো বিশ্বকাপে সুপার এইটে খেলা দলগুলোর মধ্যে ক্যাচ নেয়ার হিসেবে বাংলাদেশ পেছনে ফেলেছে ভারত এবং অস্ট্রেলিয়ার মতো দলকেও। 

এমনকি দক্ষিণ আফ্রিকা কিংবা ওয়েস্ট ইন্ডিজের চেয়েও বাংলাদেশের ক্যাচ ধরার শতকরা সাফল্য ছিল বেশি। কমপক্ষে সুপার এইট খেলেছে এমন দলের মধ্যে বাংলাদেশের চেয়ে ক্যাচ নেয়ায় এগিয়ে আছে কেবল ইংল্যান্ড। ৮৭.৯০ শতাংশ ক্যাচই তালুবদন্দি করেছে জস বাটলাররা। আর ৮৭.৫০ শতাংশ ক্যাচ নিয়েছে টাইগার ফিল্ডাররা। আসরে বাংলাদেশ নিয়েছে ২৮ ক্যাচ আর ইংল্যান্ড নিয়েছে ২৯ ক্যাচ। দুই দলই ছেড়েছে ৪ ক্যাচ। 

৩৫ ক্যাচ নিলেও অস্ট্রেলিয়া এবারের আসরে সবচেয়ে বেশি ১৫টি ক্যাচ মিস করেছে। ৭০ শতাংশ ক্যাচ ধরেছে তারা। ভারত ৪৫ ক্যাচ নিয়ে মিস করেছে ১১টি। তারা তালুবন্দি করেছে ৮০.৪০ শতাংশ ক্যাচ। তারা দুই দল আছে সবার নিচে। ৮৫ শতাংশ ক্যাচ নিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ আছে তিনে। ৮৩.৬০ শতাংশ ক্যাচ সফলভাবে নিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। 

আফগানিস্তান নিয়েছে ৮২.৫০ শতাংশ ক্যাচ। আর যুক্তরাষ্ট্র সফল হয়েছে ৮২.৪০ শতাংশ ক্যাচ নেয়ার ক্ষেত্রে। টাইগার ক্রিকেটাররা ব্যাট হাতে হতাশ করলেও বল হাতে কিংবা ফিল্ডিংয়ে নিজেদের সর্বোচ্চ দিয়েছেন, তারই যেন নমুনা দেখা গেল এই ক্ষুদ্র পরিসংখ্যানে। এবারের বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি ক্যাচ নিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। মোট ৪৬ ক্যাচ নিয়েছেন এইডেন মার্করামরা। 

সবচেয়ে বেশি মিস করেছে অস্ট্রেলিয়া। অজিরা ছেড়ে দিয়েছে ১৫ ক্যাচ। সব কম ক্যাচ নিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। তারা লুফে নিয়েছে ১৪ ক্যাচ। মিসও সবচেয়ে কম করেছে তারাই। মোটে ৩ ক্যাচ ছেড়েছিল স্বাগতিকরা।

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.