গোলাপগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ব্যবসায়ী তাজ উদ্দিন নিহতের ঘটনায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।

বুধবার রাতে হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহত তাজ উদ্দিনের স্ত্রী মোছা. রুলী বেগম।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গোলাপগঞ্জ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মীর মোহাম্মদ আব্দুন নাসের।

এ মামলায় সাবেক এমপি নুরুল ইসলাম নাহিদকে প্রধান আসামি করে ২৮ জনের নাম উল্লেখ করা হয়।

এই মামলায় এজাহারভুক্ত আসামিদের মধ্যে রয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি লুৎফুর রহমান, কানাডা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি সরওয়ার হোসেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলী আকবর ফখর, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার বদরুল ইসলাম সোয়েবসহ মোট ২৮ জন আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীর নাম। এছাড়াও আরো ১৫/২০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়।

এর আগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত গৌছ উদ্দিন, মিনহাজ উদ্দিন, নজমুল ইসলাম, সানি আহমদ, হাছান আহমদ নিহতের ঘটনায় আরও পৃথক ৫টি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। এরমধ্যে একটি মামলা শুধু আদালতে দায়ের করা হয়।

জানা যায়, শেখ হাসিনা সরকার পতনের আগের দিন গত (৪ আগস্ট) দুপুর ২টার দিকে বাড়ির পাশেই বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় পুলিশ-বিজিবি ও ছাত্র জনতার সংঘর্ষ হয়। ওইদিন গোলাপগঞ্জ উপজেলার সহকারী কমিশনার ভূমি অভিজিৎ চৌধুরীর উপস্থিতিতে পুলিশ, বিজিবি ও সন্ত্রাসীরা গুলি ছুড়ে। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান বারকোট গ্রামের মৃত মকবুল আলীর ছেলে ব্যবসায়ী তাজ উদ্দিন (৪০)। ৬ ভাই-বোনের মধ্যে দুই কন্যা সন্তানের জনক তাজ উদ্দিন ছিলেন সবার বড়। গোলাপগঞ্জে তাজ উদ্দিন সহ ৬ জন নিহত হন। এছাড়াও সিলেটে পুলিশের গুলিতে গোলাপগঞ্জের আরেকজন নিহত হন।

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.