গত ৫ আগস্ট বিয়ানীবাজার থানা এলাকায় সংঘর্ষ, ভাংচুর ও গুলি বর্ষণের ঘটনায় তারেক আহমদ নিহত হওয়ার ঘটনায় বিয়ানীবাজার থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। ২০ আগস্ট এ মামলা (৪নং মামলা-২০/০৮/২৪) দায়ের করেন নিহত তারেক আহমদের মাতা ইনারুন নেছা। মামলায় এজাহার নামীয় ৭৫জনসহ অজ্ঞাত আরো ১৫০-২০০জনকে আাসামী করা হয়েছে।

থানায় দায়ের করা এজাহারের আসামীদের সবাই বিয়ানীবাজার উপজেলা, পৌরসভা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মী ও আওয়ামী লীগ রাজনীতির সমর্থক রয়েছেন। এজাহারে প্রথম আসামী বিয়ানীবাজার উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের তৃতীয় যুগ্ম সম্পাদক আবুল কাশেম পল্লব, দ্বিতীয় ও তৃতীয় আসামী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আতাউর রহমান খান ও সাধারণ সম্পাদক দেওয়ান মাকসুদুল ইসলাম আউয়ালকে আসামী করা হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে বিয়ানীবাজার থানার ওসি ও পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) এর সরকারি মোবাইল নম্বর বন্ধ পাওয়া যায়। থানার ডিউটি অপিসার উপপুলিশ পরিদর্শক মনির জানান, থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। তবে মামলায় কতজনকে আসামী করা হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে কিছু জানি না।

এদিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে মামলার আসামীদের নামযুক্ত এজাহার ভাইরাল হয়েছে। পুলিশ আসামীদের নাম গোপন করার চেষ্টা করলেও ফেসবুকে এটি সয়লাভ।

বৃহস্পতিবার মামলার বাদি ইনারুন নেছা সিলেট আদালত (বিয়ানীবাজার কোর্ট) মামলা প্রত্যাহারের আবেদন করেছেন বলে বিভিন্ন সূত্রে নিশ্চিত হওয়া গেছে।

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.