সাবেক তথ্যমন্ত্রী ও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি হাসানুল হক ইনুকে আটক করা হয়েছে। সোমবার রাজধানীর উত্তরা থেকে তাকে আটক করে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) গুলশান জোনের উপ-কমিশনার জিয়াউদ্দীন আহমেদ।

তিনি জানান, ইনুর বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় মামলা আছে।

হাসানুল হক ইনু আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন রাজনৈতিক জোট কেন্দ্রীয় ১৪ দলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ নেতা। এর আগে গত ২২ আগস্ট কেন্দ্রীয় ১৪ দলের আরেক গুরুত্বপূর্ণ নেতা বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেননও গ্রেফতার হন। 

সরকারের পতনের পর শেখ হাসিনাসহ সাবেক মন্ত্রী–প্রতিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ নেতা–কর্মীদের নামে বেশ কয়েকটি হত্যা মামলা হয়েছে। 

১৪ দল নেতা রাশেদ খান মেনন ও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি হাসানুল হক ইনুর নামেও হত্যা মামলা হয়েছে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালেও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার মন্ত্রীসভা সদস্যদের নামে গণহত্যার অভিযোগ করা হয়েছে। 

গত বৃহস্পতিবার সাবেক বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি হাসানুল হক ইনু ও ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেননের বিরুদ্ধে জিয়া পরিবার নিয়ে বিরূপ মন্তব্যের অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) মামলাটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

এসব মামলার পরিপ্রেক্ষিতে শুক্রবার জাসদের পক্ষ থেকে দলটির দপ্তর সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে কেন্দ্রীয় সভাপতি হাসানুল হক ইনু এবং কেন্দ্রীয় সহসভাপতি লোকমান আহমেদসহ কয়েকজনের নামে হত্যা মামলা দায়েরের ঘটনায় প্রতিবাদ জানানো হয়। 

জাসদ কেন্দ্রীয় কমিটি বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করে, অত্যন্ত সুস্পষ্ট ও দৃঢ়তার সঙ্গে বলতে চায় যে, দেশে দীর্ঘদিনের দ্বি-মেরুকৃত বিভাজিত রাজনীতিতে হাসানুল হক ইনু বা দলগতভাবে একটি রাজনৈতিক পক্ষের।

এদিকে একটি রাজনৈতিক মেরুতে অবস্থানে থাকলেও কোটা সংস্কারে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রআন্দোলনের শুরু থেকেই এই আন্দোলন ও আন্দোলনকারীদের বিপক্ষে কোনো বক্তব্য, বিবৃতি এবং অবস্থান গ্রহণ করেননি।

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.