বিয়ানীবাজার পৌরসভার প্রশাসকের নতুন দায়িত্ব পেয়েছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) কাজী শামীম।
বুধবার বিকেলে নতুন পৌর প্রশাসক পৌরসভার দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। তিনি ৩৫তম ব্যাচের কর্মকর্তা।
কাজী শামীম বিয়ানীবাজারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার হিসেবে চলতি বছরের ২১ এপ্রিল যোগদান করেন।
বিয়ানীবাজার পৌরসভার প্রশাসক হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন সিলেটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ মোবারক হোসেন।
সেবা প্রত্যাশীরা পৌরসভায় এসে ব্যবসায়িক অনুমতিপত্র (ট্রেড লাইসেন্স), জন্ম-মৃত্যু সনদ, নাগরিক সনদপত্র, ওয়ারিশ সার্টিফিকেট নিতে বিড়ম্বনার শিকার হন। সূত্র জানায়, প্রয়োজনীয় সনদ পেতে হলে কখনো সপ্তাহের বেশি সময় অপেক্ষা করতে হয়। এই সময়ে প্রয়োজনীয় অনেক কাজ থেকে বঞ্চিত হন সেবা প্রত্যাশীরা। কোন কোন ক্ষেত্রে তুচ্ছ কারণে জরুরি কাগজপত্র ফিরিয়ে দেয়া হয়। জেলা প্রশাসনের জরুরি কাজে ব্যস্ত থাকায় সিলেটে গিয়েও এডিসি মোবারক হোসেনের সাক্ষাৎ পাওয়া ছিল কঠিন। জনদুর্ভোগ লাঘবে সরকার মাঠ পর্যায়ের সর্বোচ্চ প্রশাসনিক কর্মকর্তা ইউএনওকে পৌর প্রশাসকের দায়িত্ব প্রদান করে।
১৮.১৭ বর্গ কি.মি. আয়তনের বিয়ানীবাজার পৌরসভায় লোকসংখ্যা প্রায় ৪৫ হাজার। সিলেট শহর থেকে ৫১ কি.মি. পূর্ব দিকে বিয়ানীবাজার পৌরসভার অবস্থান। ২০০১ সালের ৩০ এপ্রিল বিয়ানীবাজার পৌরসভা গঠিত হয়। ২০১৭ সালের ৩১ জুলাই এটি প্রথম শ্রেণিতে উন্নীত হয়। এ পৌরসভায় মো. তফজ্জুল হোসেন দীর্ঘকাল প্রশাসক, মো. আব্দুস শুকুর পূর্ণ মেয়াদে এবং ফারুকুল হক মেয়াদের অর্ধেকের কম সময় মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর ফারুকুল হক অপসারিত হন।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.