বিয়ানীবাজারে প্রতিবেশি যুবকের মামলা, হামলা, নির্যাতন ও হুমকির শিকার পাঁচ পরিবার প্রতিকার চেয়ে বিয়ানীবাজার প্রেসক্লাবে রোববার সংবাদ সম্মেলন করেছেন। এসব পরিবারের মধ্যে একজন বৃদ্ধা হাজেরা বেগম। তিনি লিখিত বক্তব্যে জানান, প্রতিবেশি যুবক রুয়েল আহমদ যুবলীগ রাজনীতির সাথে জড়িত রয়েছে এবং নানা অপরাধ কর্মকাণ্ডসহ অবৈধ পন্থায় সম্পদ অর্জন করে তাদের নির্যাতন করছে।
রুয়েলের মিথ্যা মামলায় দেশে অবস্থানরত তাঁর দুই সন্তাস জেল হাজতে থাকায় পুলিশসহ সন্ত্রাসীর ভয়ে পুত্রবধু ও নাতিদের নিয়ে আতংকে দিন কাটাচ্ছেন বলে জানান হাজেরা বেগম। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, যুবলীগ নেতা রুয়েল আহমদকে চিনি, স্বর্ণ চোরাচালন, গরু চুরি সিন্ডিকেট, আদম পাচারে জড়িত উল্লেখ করে দুদকসহ প্রশাসনের তদন্তের দাবি জানান। তিনি বলেন, রুয়েল আহমদের আক্রোসের শিকার আমার দুই ছেলে তানভীর ও মাহিনসহ প্রতিবেশি চার পরিবার। আমার দেবরের কাছ থেকে জমি ক্রয় করা নিয়ে তার সাথে বিরোধ তৈরী হয়। রুয়েল আহমদ চাইছিলো এ ৩৩ শতক জায়গাটি সে ক্রয় করতে। কিন্তু আমাদের প্রয়োজনে জায়গাটি ক্রয় করায় তার জিঘাংসার স্বীকার হচ্ছে আমার ছেলেরা।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত আব্দুস শুকুর অভিযোগ করে তাদের কাছ থেকে প্রবাসে পাঠানোর নাম করে লাখ লাখ হাতিয়ে নিয়েছেন রুয়েল আহমদ। তিনি থানা পুলিশের অভিযোগ করেও প্রতিকার পাননি। উল্টো পুলিশ তাদের হয়রানি করছে। শুকুর বলেন, রুয়েল আহমদের ভাই সোহেল আহমদ আমাদের জড়িয়ে মিথ্যা মামলা দায়ের করলে পুলিশ আমাদের গ্রেপ্তার করে। বর্তমানেসহ বেশ কয়েকজন জামিনে আছি। অন্য ৫জন জেল হাজতে। তারপরও পুলিশ আমাদের বাড়ি ঘরে গিয়ে হয়রানি। তিনি বলেন, রুয়েল আহমদ অদৃশ্য ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে আমাদের বিরুদ্ধেিএকের পর এক মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করছে।
সংবাদ সম্মেলনে বৃদ্ধা হাজেরা বেগমের পক্ষে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন তার ভাই রেজাউর রহমান।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.