বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব মুক্তিযোদ্ধা হারিছ চৌধুরীর দেহাবশেষ ফের দাফন করা হয়েছে। রোববার বাদ আসর সিলেটে গ্রামের বাড়ি কানাইঘাটের দর্পনগরে নিজ গ্রামে বাবার নামে প্রতিষ্ঠিত শফিকুল হক চৌধুরী মেমোরিয়াল এতিমখানার আঙিনায় রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা হয়। 

এর আগে সকালে ঢাকা থেকে সড়ক পথে হারিছ চৌধুরীর দেহাবশেষবাহী অ্যাম্বুলেন্স সিলেটে পৌছে। দেহাবশেষ রাখা হয় সিলেট সাকির্ট হাউসের সামনে। বেলা ২টার দিকে নিয়ে যাওয়া হয় নগরীর সিলেট শাহী ঈদগাহ ময়দানে। সেখানে দোয়া পরিচালনা করেন দরগাহ মসজিদের ইমাম। 

দোয়ার আগে মহানগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক বদরুজ্জামান সেলিমের পরিচালনায় সেখানে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন হারিছ চৌধুরীর মেয়ে ব্যারিস্টার সামিরা তানজিন চৌধুরী। বাবার জন্য দোয়া চেয়ে তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের সরকারের আমলে মরদেহ সিলেট আনা সম্ভব হয়নি। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে আবেদনের প্রেক্ষিতে এবং ডিএনএ পরীক্ষার পর সরকারের নির্দেশনা পেয়ে মরদেহ সিলেটে নিয়ে আসা হয়েছে।’ 

শাহী ঈদগাহ মাঠে দোয়া অনুষ্ঠোনে বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে দলের কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মিফতাহ সিদ্দিকী, নগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রেজাউল হাসান লোদী কয়েস, সাধারণ সম্পাদক এমদাদ হোসেন চৌধুরীসহ দলের নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। 

উল্লেখ্য, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ২০২১ সালের ৩ সেপ্টেম্বর হারিছ চৌধুরী মারা যাওয়ার পর হারিছ চৌধুরী পরিচয় গোপন করে মরদেহ দাফন করা হয়। অধ্যাপক মাহমুদুর রহমান নামে হারিছ চৌধুরীকে ঢাকার সাভারের বিরুলিয়ায় জামিয়া খাতামুন্নাবিয়্যিন মাদরাসা প্রাঙ্গণে দাফন করা হয়। পরে তাঁর মেয়ে সামিরার উচ্চ আদালতে রিট করেন। রিটের প্রেক্ষিতে মরদেহ উত্তোলন করে ডিএনএ পরীক্ষা করা হয়। ডিএনএ পরীক্ষায় হারিছ চৌধুরী নিশ্চিত হওয়ার পর সরকারের নির্দেশনায় রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফনের নির্দেশ দেওয়া হয়। সেই নির্দেশনার আলোকে রোববার সিলেটের গ্রামের বাড়িতে মরদেহ দাফন করা হয়। 

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.