২০০৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে গিয়ে দুই টেস্টেই জিতেছিল বাংলাদেশ। সেটি ছিল দ্বিতীয় সারির এক উইন্ডিজ দল। মাঝে আরো তিনবার ক্যারিবীয় অঞ্চলে গিয়ে টেস্টে হোয়াইটওয়াশ হয়েছে বাংলাদেশ। ১৫ বছর পর কাটল ওই জুজু।কিংস্টনের স্যাবাইনা পার্কে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে বাংলাদেশ তুলে নিয়েছে ১০১ রানের বড় জয়ে। সিরিজ শেষ করেছে ১-১ সমতায়।

প্রথম টেস্টে বড় হারের পর ঘুরে দাঁড়ানোর লক্ষ্যে দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে টস জিতে ব্যাটিং নেন নেতৃত্বভার পাওয়া মেহেদী মিরাজ। ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে তার দল।

অলআউট হয় মাত্র ১৬৪ রানে। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৬৪ রান করেন ওপেনার সাদমান ইসলাম। 

জবাবে নামা ওয়েস্ট ইন্ডিজকে দুর্দান্ত বোলিংয়ে ১৪৬ রানে অলআউট করেন তরুণ গতিময় পেসার নাহিদ রানা। তিনি ক্যারিয়ারে প্রথমবার ইনিংসে ৫ উইকেট নেন।বাংলাদেশ প্রথম ইনিংস থেকে ১৮ রানের লিড পেয়ে যায়।

দ্বিতীয় ইনিংসে জাকের আলীর দৃঢ়তায় ২৬৮ রান করে বাংলাদেশ। জাকের একপ্রান্ত দিয়ে ৯১ রানের ইনিংস খেলেন। এ ছাড়া সাদমান ৪৬ ও মিরাজ ৪২ রান যোগ করেন। বাংলাদেশ জয়ের জন্য স্বাগতিকদের ২৮৭ রানের লক্ষ্য দেয়।

বাঁ হাতি স্পিনার তাইজুল ইসলামের ঘূর্ণিতে ১৮৫ রানে অলআউট হয়েছে ক্যারিবীয়রা। দলটির পক্ষে ওপেনার ও অধিনায়ক ব্রাথওয়েট ৪৩ রান করেন। কাভেম হগ ৫৫ রান যোগ করেন। তাইজুল ১৭ ওভারে ৫০ রান দিয়ে নেন ৫ উইকেট।

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.