এনসিএল টি-টোয়েন্টির ফাইনালে মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) মুখোমুখি হবে ঢাকা মেট্টো ও রংপুর। সিলেট আন্তর্জাতি স্টেডিয়ামে ম্যাচটি শুরু হবে আগামীকাল দুপুরে। তবে ফাইনাল নিয়ে তেমন কোনও চাপ নিচ্ছেন না দুই দলের অধিনায়ক নাঈম ও আকবর। কিন্তু দুই অধিনায়কের চোখ শিরোপার দিকেই।
ঘরোয়া ক্রিকেটে একটি টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টের চাওয়া ছিল অনেক দিনের। এনসিএল টি-টোয়েন্টি দিয়ে বেশ জাঁকজমকপূর্ণভাবে ওই আক্ষেপ পূরণ করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড।
কাল সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে ঢাকা মেট্টোর মুখোমুখি হবে রংপুর। এই দুই দল লিগ পর্বেও ছিল সবার উপরে। পরে প্লে অফের বাধা পেরিয়ে ফাইনালেও উঠেছে তারা। এ ম্যাচের আগে নিজের ভাবনার কথা জানিয়েছেন ঢাকা মেট্টোর অধিনায়ক নাঈম শেখ।
তিনি বলেন, ‘আসলে এভাবে চিন্তা করি নাই যে, মাঠে চাপ নিয়ে খেলবো। টুর্নামেন্টের প্রথমেই আমি দলকে বলেছি যে, আমরা একটা একটা করে ম্যাচ যাবো। লম্বা কিছু চিন্তা করবো না। শুধু একটা একটা করে ম্যাচ শেষ করবো। এরকম একটি দল থাকলে কাজটা সহজ হয়ে যায়।’
টুর্নামেন্টে নিজের দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন নাঈম। ব্যাটে রানও রান পেয়েছেন। ৯ ইনিংসে ১৩৬.৮০ স্ট্রাইক রেটে সর্বোচ্চ ৩১৬ রান করেছেন তিনি। যদিও নিজের কৃতিত্ব নিতে রাজি নন নাঈম। তার ভাষ্য, দলের সবাই মিলেই এগিয়ে দিয়েছেন তাদের। ফাইনালেও ভরসা রাখতে চান সতীর্থদের ওপর।
‘মাঠে যে পরিস্থিতি আসুক আমি নিজে উপর থেকে চেষ্টা করতেছি টপ অর্ডার ব্যাটার হিসেবে। দলের নেতা হিসেবে একটা দায়িত্ব থাকে সেটাই করে যাচ্ছি। আমার দলে ৬-৭ জন ম্যান অব দ্য ম্যাচ হওয়া ক্রিকেটার আছে। একেকজন একেক দিন ভালো করেছে। ছোট দল বা বড় দল বলে কোন কথা নেই টি-টোয়েন্টিতে মাঠে যারা ভালো করবে তারাই ফল পাবে। চেষ্টা আছে মাঠে সেরাটা দিয়ে দেওয়ার।
এনসিএল টি-টোয়েন্টিতে রংপুরকে নেতৃত্ব দিয়েছেন আকবর আলি। ৭ ম্যাচে ৫ জয় নিয়ে টেবিলের দুই নম্বরে আছে তারা। তিনিও তাকিয়ে আছেন দলের অন্যান্যদের দিকে। স্বল্প সময়ের ক্রিকেটে সুযোগটা কাজে লাগাতে চান রংপুর অধিনায়ক।
আকবর বলেন, ‘ফাইনাল খেলাকেও স্বাভাবিক হিসেবে চিন্তা করছি। আমার মনে হয় আমাদের দল অনেক ভালো করছে। একটা সঠিক সময়ে যে পারফরম্যান্স করার দরকার তাই আমাদের প্রত্যেকেই ভালো করছে। টি-টোয়েন্টি খেলায় আমার কাছে মনে হয় না বড় দল বা ছোট দল বলে কোন কথা আছে। কারণ টি টুয়েন্টি খুব অল্প সময়ের খেলা যারা মোমেন্টাম ধরে রাখতে পারবে তারাই ভালো করবে।