বাকি দুই ফরম্যাটে নেতৃত্ব চালিয়ে যেতে আপত্তি না থাকলেও টি-টোয়েন্টি দলের নেতৃত্ব ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। নাজমুল হাসান পাপনের আমলে দায়িত্ব পাওয়া শান্তর মেয়াদ ছিল বিদায়ী বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত। তবে নতুন করে তিনিই দায়িত্ব পাচ্ছেন- এই গুঞ্জন থাকাকালে এলো টি-টোয়েন্টির নেতৃত্ব ছাড়ার ঘোষণা।

 
শান্ত ইতোমধ্যে তার এই সিদ্ধান্ত বিসিবিকে জানিয়েছেন, বোর্ডও মেনে নিয়েছে। এর আগে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ চলাকালে শান্ত নেতৃত্ব চান বলে খবর বের হয়েছিল। তবে তখন অধিনায়ক পরিবর্তনের পথে হাঁটেনি বিসিবি।

শান্ত দায়িত্ব ছাড়ায় কে হবেন টি-টোয়েন্টির নতুন অধিনায়ক তা অনুমান করা কঠিন নয়। গেল মাসে ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৩-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশ করে বাংলাদেশ, যার নেতৃত্বে ছিলেন লিটন দাস। সেই সিরিজ শেষে লিটন জানিয়েছিলেন, দায়িত্ব দিলে টি-টোয়েন্টি দলকে নেতৃত্ব দিতে তিনি প্রস্তুত।


লিটনের ভাষায়, ‘বিসিবি যদি আমাকে দায়িত্ব দেয় আমি (অধিনায়কত্ব) করতে রাজি আছি। এখানে দ্বিমত থাকার কোনো কথা না। আমি এটা উপভোগ করছি। এতদিন খেলার অভিজ্ঞতা থেকে আমি অনেক সিদ্ধান্ত নিই, বোলাররাও স্কিল দেখাচ্ছে, মাঠে আমার কাজ সহজ হয়ে যায়।’

তবে বাকি দুই ফরম্যাটে শান্তর নেতৃত্ব করার ইচ্ছা যে ইঙ্গিত দিচ্ছে, তাতে অনেকটাই নিশ্চিত আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে তার নেতৃত্বেই খেলবে বাংলাদেশ। এখন সব খেলোয়াড় ব্যস্ত বিপিএলে। বিপিএল শেষ হওয়ার পরপরই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। তার আগে অধিনায়ক পরিবর্তনের পথে হাঁটবে না বিসিবি। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি শেষে মার্চে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ রয়েছে। সেখানেই অধিনায়ক হিসেবে দেখা যেতে পারে লিটনকে।

ওয়ানডের মতো টেস্টেও শান্তকেই রেখে দেওয়া হতে পারে নতুন বছরের অধিনায়ক হিসেবে। কারণ ব্যাট হাতে তেমন ছন্দে না থাকলেও শান্তর অধিনায়কত্ব নিয়ে প্রশ্ন তোলার সুযোগ কম। একইভাবে লিটনও পড়েছেন রান-খরায়, তবে অধিনায়কত্বের কারণে ক্যারিবীয় সফরে কুড়িয়েছেন প্রশংসা। মূলত শান্তর চোটের কারণেই এই সিরিজে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন লিটন। আর ওয়ানডে-টেস্ট সিরিজে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ, টি-টোয়েন্টি দলে যার জায়গাটা আবার পাকা নয়।

সূত্র: বিডিক্রিকটাই‍ম

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.