প্রথম ৮ ম্যাচ থেকে ১২ পয়েন্ট পেয়েছিল ফরচুন বরিশাল। আজ সিলেটকে হারানোয় তাদের নামের পাশে যোগ হয়েছে আরো ২ পয়েন্ট। সবমিলিয়ে ১৪ পয়েন্ট পাওয়ায় প্লে অফ নিশ্চিত হয়েছে ফরচুনদের। এর আগে প্রথম দল হিসেবে এবারের আসরে প্লে অফে গেছে রংপুর রাইডার্স। অন্যদিকে সিলেট কাগজে-কলমে এখনো টিকে থাকলেও, আদতে তাদের প্লে অফের সম্ভাবনা নেই বলা যায়।
মিরপুরে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে ১৮ ওভার ১ বলে সবকটি উইকেট হারিয়ে ১১৬ রান সংগ্রহ করে সিলেট। জবাবে খেলতে নেমে ২ উইকেট হারিয়ে ১৬ ওভারেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় বরিশাল। দলের হয়ে সর্বোচ্চ অপরাজিত ৫২ রান করেছেন তামিম ইকবাল।
১১৭ রানের লক্ষ্য তাড়ায় শুরুটা ভালো হয়নি বরিশালের। বাজে সময় পার করা তাওহিদ হৃদয়, আজও ব্যর্থ হয়েছেন। ইনিংস ওপেন করতে নেমে ৭ বলে ৬ রানের বেশি করতে পারেননি তিনি। তিনে নেমে হৃদয়ের পথেই হেটেছেন ডেভিড মালান। তার ব্যাট থেকে এসেছে ৮ বলে ৯ রান।
৩৯ রানে ২ উইকেট হারানোর পর তৃতীয় উইকেট জুটিতে অবিচ্ছিন্ন ৮১ রান তোলেন মুশফিকুর রহিম ও তামিম ইকবাল। তাদের এমন ব্যাটিংয়ে আর কোনো উইকেট না হারিয়েই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় দল। তামিম করেছেন অপরাজিত ৫২ রান। আর মুশফিকের ব্যাট থেকে এসেছে অপরাজিত ৪২ রান।
এর আগে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই বেশ ভুগেছে সিলেট। দলীয় ফিফটির আগেই প্রথম সারির ৫ ব্যাটারকে হারায় তারা। জজ মান্সি, রনি তালুকদার ও জাকির হাসান টপ অর্ডারের এই টিন ব্যাটারের কেউই দুই অঙ্ক ছুঁতে পারেননি।
চারে নেমে আহসান ভাট্টি এক প্রান্ত আগলে রেখে ব্যাটিং করার চেষ্টা করেন। তবে তাকে যোগ্য সঙ্গ দিতে পারেনি কেউই। ২৯ বল খেলে ২৮ রান করেছেন তিনি।
মিডল অর্ডারে জাকের আলি-আরিফুল হকরা চেষ্টা করেছেন ঘুরে দাঁড়ানোর। তবে কেউই দায়িত্ব নিয়ে বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। জাকেরের ব্যাট থেকে এসেছে ১৯ বলে ২৪ রান।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.