প্রথমে অনুশীলন বয়কট, এরপর ম্যাচ বয়কটের হুমকি। দুর্বার রাজশাহীকে কেন্দ্র করে ১৫ জানুয়ারি দিনভর বিতর্ক। পারিশ্রমিক না পাওয়ায় এক প্রকার বিদ্রোহ করে বসেছিলেন দুর্বার রাজশাহীর ক্রিকেটাররা, যা গড়িয়েছে বিসিবির সর্বোচ্চ মহল পর্যন্ত। তবে রাজ্যের বিতর্কের পর ফ্র্যাঞ্চাইজির পক্ষ থেকে জানানো হলো, দলের মালিক দেশে না থাকায় চেক বাউন্স করেছে ক্রিকেটারদের।

দুর্বার রাজশাহীর অপারেশন ইন চার্জ জায়েদ আহমেদ দলের পক্ষ থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে দাবি করেছেন, ক্রিকেটারদের অনুশীলন না করার সাথে পারিশ্রমিক বকেয়া থাকার কোনো সম্পর্ক নেই। অর্থাৎ একে বিদ্রোহ বা অনুশীলন বয়কট হিসেবে মানতে নারাজ ফ্র্যাঞ্চাইজি।


‘এটার সাথে সম্পৃক্ত না। ম্যানেজমেন্ট থেকে প্রত্যেক খেলোয়াড়কে বলা হয়েছে ১৬ জানুয়ারি পেমেন্ট দেওয়া হবে। এটার সাথে প্র্যাকটিসের ইস্যু ছিল না। সিলেট থেকে চট্টগ্রাম আসার সময় কিছু খেলোয়াড় ঢাকায় নেমে গিয়েছিল। বিশ্রামে ছিল। চট্টগ্রামে সবাই একসাথে টিম হোটেলে ওঠেনি। আজকে এসেছে, এখনও এক-দুইজন বাকি আছে। সব কিছু মিলে খেলোয়াড়রা বিশ্রাম চেয়েছিল, ম্যানেজমেন্ট বিশ্রাম দিয়েছিল।‘

১৬ জানুয়ারি ক্রিকেটাররা তাদের ২৫ শতাংশ পারিশ্রমিক হাতে হাতে পেয়ে যাবেন, আর বাকি ২৫ শতাংশ পাবেন চেক এর মাধ্যমে। পারিশ্রমিকের বাকি ৫০ শতাংশ পরিশোধের জন্য অবশ্য সময় হাতে আছে দলটির।

জায়েদ জানান, ‘যেহেতু পেমেন্ট একটু দেরি হয়েছে, এজন্য দুঃখপ্রকাশ করছি। ১৬ জানুয়ারি যেহেতু দিচ্ছি, বৃহস্পতিবার। শুক্র-শনি বন্ধ। তাই ম্যানেজমেন্ট ঠিক করেছে ২৫ শতাংশ পেমেন্ট ক্যাশ হবে। আরেকটা চেক দিয়ে দিব ২৫ শতাংশ। সব মিলে ৫০ শতাংশ পেমেন্ট দিয়ে দিচ্ছি।‘

দুর্বার রাজশাহীর মালিকের স্ত্রী ডাগআউটের পাশে বসে খেলা দেখার সময় বলের আঘাতে ইঞ্জুরির শিকার হন। এতে তাকে নিয়ে তৎক্ষণাৎ ব্যাংকক যেতে হয় দলের মালিককে। তিনি না থাকায় চেক বাউন্স করেছে- জানিয়েছে দল।

‘হাড়ে ফ্র্যাকচার হয়, দ্রুত ব্যাংকক নিয়ে যেতে হয়। ওখানে ছিলেন। চেক এর আগেই দিয়ে ফেলেছিলাম। চেক ঐ তারিখে লেখা হয় কিন্তু উনি ছিলেন না। তখন বলেছেন- আমি আসার পর যেন খেলোয়াড়রা চেক জমা দেয়, নাহলে তো আমাকে ফোনে পাবে না। হয়ত ভুলবশত ২-১ জন ক্রিকেটার চেক সাবমিট করে ফেলে, হয়ত মনে ছিল না। তখন বলেছেন মাথায় ছিল না, মনে করেছি সমস্যা সমাধান হয়ে গেছে।‘

‘পেমেন্ট নির্ধারিত সময়ে দিতে পারিনি এজন্য দুঃখপ্রকাশ করেছি। আমাদের বার্তা বিসিবির সভাপতি মহোদয়ও জানেন।‘

এ সময় জায়েদ আরও দাবি করেন, পারিশ্রমিক পরিশোধে দেরি হওয়ায় দেশি ক্রিকেটারদের অতিরিক্ত ১ লাখ টাকা করে দেওয়া হয় ফ্র্যাঞ্চাইজির পক্ষ থেকে।

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.