ডিজেল ও কেরোসিনের দাম লিটার প্রতি কমল এক টাকা। ডিজেল ও কেরোসিনের বিক্রয়মূল্য প্রতি লিটার ১০৫ টাকা হতে ১ টাকা কমিয়ে ১০৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
নতুন দর ১ জানুয়ারি ২০২৫ থেকে কার্যকর হবে বলে প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন প্রকাশ করা হয়েছে।
অকটেন ১২৫ টাকা, পেট্রোরের দাম ১২১ টাকায অপরিবর্তিত থাকছে। বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের মূল্য হ্রাস/বৃদ্ধির সাথে সামঞ্জস্য রেখে স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে আলোকে নির্বাহী আদেশে নতুন দর নির্ধারণ করা হয়েছে। এর আগে নভেম্বর মাসে ডিজেল ও কেরোসিন তেলের দাম লিটারে ৫০ পয়সা কমিয়ে ১০৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়। ওই সময়েও অকটেন ১২৫ ও পেট্রোল ১২১ টাকা অপরিবর্তিত রাখা হয়।
সরকার জ্বালানি তেলের দামে ভর্তুকি প্রদান থেকে বের হয়ে আসার সিদ্ধান্ত নেয়। এখানে আইএমএফ এর চাপও রয়েছে। “জ্বালানি তেলের স্বয়ংক্রিয় মূল্য নির্ধারণ নির্দেশিকা” প্রজ্ঞাপন গত ২৯ ফেব্রুয়ারি রাতে প্রকাশ করা হয়েছে। ওই ফর্মুলা অনুযায়ী প্রতিমাসে আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে দাম সমন্বয় করার কথা। গেজেট অনুযায়ী বিপিসি ও অন্যদের কমিশন অপরিবর্তিত থাকবে শুধু আমদানি মূল্যের তারতম্য প্রতিমাসে কমবেশি হবে।
অকটেন ও পেট্রোল ব্যক্তিগত যানবাহনে অধিক পরিমাণে ব্যবহৃত হয় বিধায় এর মূল্য বিলাস দ্রব্য (লাক্সারি আইটেম) হিসেবে সব সময় ডিজেলের চেয়ে বেশি রাখা হয়। ফর্মুলা অনুযায়ী অকটেন এর মূল্য নির্ধারণকালে ডিজেল এর সাথে পার্থক্য লিটার প্রতি ন্যূনতম ১০ টাকা যেন থাকে সে জন্য প্রাইসিং ফর্মুলায় ‘α’ ফ্যাক্টর বিবেচিত হবে।
আর নজিরবিহীন দাম বাড়ানো হয় ২০২২ সালের ৫ আগস্ট রাতে। বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) জারি করা আদেশে ডিজেল ও কেরোসিন লিটার প্রতি ৩৪ টাকা এবং পেট্রল ও অকটেনে ৪৬ টাকা দাম বাড়ানো হয়েছিল। তখন ডিজেল ও কেরোসিনের দাম ১১৪ টাকা লিটার, পেট্রোল ১৩৫টাকা এবং অকটেন ১৩৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়। ওই দাম বৃদ্ধির পর গণপরিবহনের ভাড়া বেড়েছিল সর্বোচ্চ ২২ শতাংশ। তারপুর্বে ২০২১ সালের নভেম্বর প্রতি লিটার ডিজেল ও কেরোসিনের মূল্য ৬৫টাকা থেকে বাড়িয়ে ৮০ টাকায় করা হয়। ওই সময়েও পরিবহন ভাড়া বাড়ানো হয় প্রায় ২৭ শতাংশ।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.