ঢাকার অদূরে একটি রিসোর্টে গায়েহলুদ সারলেন মেহজাবীন চৌধুরী। গতকাল রোববার সকাল থেকে শুরু হয়ে সন্ধ্যা পর্যন্ত চলে এই অনুষ্ঠান। পরে সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত হয় মেহেদি অনুষ্ঠান। আজ সোমবার একই ভেন্যুতে বিয়ের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। মেহজাবীনের বর প্রযোজক ও পরিচালক আদনান আল রাজীব।
১৪ ফেব্রুয়ারি ভালোবাসা দিবসে ঢাকার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার একটি রেস্টুরেন্টে মেহজাবীন ও আদনানের আক্দ সম্পন্ন হয়। বিয়ের আমন্ত্রণপত্রে ইংরেজিতে লেখা, ‘মহিউদ্দিন চৌধুরী ও গাজালা চৌধুরীর আদরের কন্যা মেহজাবীন চৌধুরীর সঙ্গে বাসেদুল আলম ও সাবেকুন নাহারের ছেলে আদনান আল রাজীবের বিয়েতে আপনি সাদরে আমন্ত্রিত।’
মেহজাবীন চৌধুরী ও আদনান আল রাজীব প্রেম করছেন—সাত বছর ধরে বিনোদন অঙ্গনে অনেকটা ‘ওপেন সিক্রেট’ হলেও এ বিষয়ে প্রকাশ্যে কখনো মুখ খোলেননি তাঁরা। বিভিন্ন সময় সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নের উত্তরে ব্যক্তিগত জীবনের এ প্রসঙ্গটি এড়িয়ে যেতেন তাঁরা। অবশেষে গুঞ্জনই সত্যি হয়েছে।

আদনান আল রাজীব ও মেহজাবীন চৌধুরী। ফেসবুক থেকে
বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, ঢাকার অদূরে সেই রিসোর্টে কয়েক দিন ধরে প্রস্তুতি চলছিল। গতকাল রোববার সকাল থেকেই সেখানে মেহজাবীন ও আদনানের পরিবারের লোকজন যাওয়া শুরু করেন। বিনোদন অঙ্গনে দুজনের ঘনিষ্ঠজনদের মধ্যে যাঁরা আয়োজনে গেছেন, তাঁদের মধ্যে ছিলেন নুসরাত ইমরোজ তিশা, রেদওয়ান রনি, সিয়াম আহমেদ, সাবিলা নূর, এলিটা করিম, আশফাক নিপুণ, সাদিয়া আয়মান, রায়হান রাফী, তমা মির্জা, নঈম ইমতিয়াজ নেয়ামূল, মোস্তফা কামাল রাজ, জেফার রহমান প্রমুখ।
গায়েহলুদ অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়া একাধিক তারকা ও পরিচালক এবং দুজনের ঘনিষ্ঠদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ছবি তোলার ক্ষেত্রে বেশ কড়াকড়ি আরোপ করেছে বর-কনেপক্ষ। নিজেদের মুঠোফোনে ছবি না তোলার জন্য আমন্ত্রিত অতিথিদের উদ্দেশে বারবার মাইকে ঘোষণা দেওয়া হয়।
আমন্ত্রিত অতিথিরা জানালেন, মেহজাবীন নিজেই তাঁর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আক্দ, গায়েহলুদ এবং বিয়ের অনুষ্ঠানের স্থিরচিত্র পোস্ট করবেন। এরপর অতিথিরা তাঁদের স্থিরচিত্র পোস্ট করার সুযোগ পাবেন। এর আগে কারও ছবি পোস্ট করার অনুমতি নেই। জানা গেছে, গায়েহলুদ অনুষ্ঠানের আয়োজনে সব মিলিয়ে আড়াই শ অতিথি আমন্ত্রিত ছিলেন। এদিন মেহজাবীনের পরনে ছিল লেহেঙ্গা আর আদনান পরেছিলেন পাঞ্জাবি-পায়জামা।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.