ধারাটা ধরে রেখেছেন রায়ান রিকেলটন। দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটারের সেঞ্চুরিতে টানা তৃতীয় ম্যাচে কমপক্ষে একজন ব্যাটারের তিন অঙ্ক দেখল চ্যাম্পিয়নস ট্রফি।
আগের দুই ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ানরা হচ্ছেন- উদ্বোধনী ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে জোড়া সেঞ্চুরিয়ান উইল ইয়াং ও টম লাথাম। অন্যদিকে গতকাল দুবাইয়ে বাংলাদেশি ব্যাটার তাওহিদ হৃদয়ের ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি ম্লান করে দিয়েছে ভারতের ওপেনার শুবমান গিলের তিন অঙ্ক।
রিকেলটনের সেঞ্চুরিতে ৩১৫ রানের বড় সংগ্রহও পেয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। আফগানিস্তানকে বড় লক্ষ্য দেওয়াতে অবদান রেখেছেন পঞ্চাশোর্ধ্ব তিন ইনিংস খেলা টেম্বা বাভুমা, রাসি ফন ডার ডুসেন ও এইডেন মার্করামও।
করাচিতে দক্ষিণ আফ্রিকার শুরুটা অবশ্য ভালো ছিল না। দলীয় ২৮ রানে ড্রেসিংরুমের পথ ধরেন টনি ডি জর্জি।ব্যক্তিগত ১১ রানে তাকে আউট করেন মোহাম্মদ নবী। প্রোটিয়াদের দ্বিতীয় ব্যাটারকেও ফেরান ৪০ বছর বয়সী অফস্পিনার। তবে ৫৮ রান করা বাভুমাকে যখন ফেরালেন ততক্ষণে যেন অনেক দেরি হয়ে গেছে।
দ্বিতীয় উইকেটে বাভুমার সঙ্গে ১২৯ রানের জুটি গড়ে দক্ষিণ আফ্রিকার বড় রানের ভিত গড়ে দেন রিকেলটন।প্রোটিয়া অধিনায়ক বাভুমা ফিরলেও ওপেনার রিকেলটনের ব্যাটের শাসন চলতেই থাকে। তৃতীয় ব্যাটার হিসেবে যখন আউট হলেন তখন দলের ২০১ রানের মধ্যে ১০৩ রানই করেন এই ওপেনার। এতে পেয়ে যান ওয়ানডে ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি।
ক্যারিয়ারের সপ্তম ম্যাচে সেঞ্চুরির দেখা পাওয়া রিকেলটন ইনিংসটি সাজান ৭ চার ও ১ ছক্কায়। রান আউটের ফাঁদে দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটার কাঁটা পড়লেও রানের চাকা ঠিকই সচল রাখেন ডুসেন ও মার্করাম।চতুর্থ উইকেটে দুজনে গড়েন ৪৭ রানের জুটি। ৩ চার ও ২ ছক্কায় ৫২ রানের ইনিংস খেলা ডুসেন আউট হলে ভেঙ্গে যায় তাদের জুটি। পরে নতুন ব্যাটার ডেভিড মিলারের সঙ্গে কাঁটায় কাঁটায় ৫০ রানের জুটি গড়েন মার্করাম।
পরে নিজেও ফিফটি তুলে নেন মার্করাম। তার অপরাজিত ৫২ রানের ইনিংসেই পরে ৩১৫ রানের সংগ্রহ পায় দক্ষিণ আফ্রিকা। আফগানদের হয়ে সর্বোচ্চ ২ উইকেট নেন নবী। জিততে হলে তাই রেকর্ড গড়তে হবে আফগানিস্তানকে। সর্বশেষ ওয়ানডে বিশ্বকাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে সর্বোচ্চ ২৮৩ রান তাড়ার রেকর্ড আছে রশিদ খান-নবীদের।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.