জিতলে টিকে থাকবে, হারলে বাদ। এমন সমীকরণের ম্যাচে বাংলাদেশের ব্যাটাররা হতাশ করলেন। বিশেষ করে মুশফিক, মাহমুদউল্লাহ, মিরাজ, হৃদয়রা মোটেই দায়িত্ব নিতে পারেননি। ধ্বংসস্তূপে দাঁড়িয়ে অধিনায়ক শান্তর ফিফটি আর শেষদিকে জাকের-রিশাদের লড়াকু দুই ইনিংসে ৫০ ওভারে ৯ উইকেটে ২৩৬ রান তুলতে সমর্থ হয় লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা।
রাওয়ালপিন্ডি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে বাংলাদেশকে ব্যাটিং পাঠায় নিউজিল্যান্ড। সৌম্য সরকার একাদশ থেকে বাদ পড়ায় তানজিদ হাসান তামিমের সঙ্গে ওপেনিং করতে নেমেছিলেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত।
নতুন এই ওপেনিং কম্বিনেশনে শুরুটা একদম মন্দ হয়নি টাইগারদের। তানজিদ-শান্ত মিলে উদ্বোধনী জুটিতে ৮.২ ওভারে তোলেন ৪৫ রান। তবে মাইকেল ব্রেসওয়েলের বলে তানজিদ মিড উইকেটে কেন উইলিয়ামসনের হাতে ধরা পড়লে ভাঙে তাদের জুটি। ফেরার আগে ১ চার ও ২ ছক্কায় ২৪ রান করেন এই ওপেনার।
তিনে নেমে ক্রিজে থিতু হতে পারেননি মেহেদী হাসান মিরাজ। মিড অনে মিচেল স্যান্টনারকে ক্যাচ প্র্যাকটিস করানোর আগে তার ব্যাটে আসে একটি করে চার-ছক্কায় ১৩ রান।
এরপর মিডল অর্ডারে অভিজ্ঞ ব্যাটাররা হতাশ করেন। অল্প রানের ব্যবধানে ফিরে যান তাওহিদ হৃদয়, মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহ। তাদের তিনজনকেই সাজঘরের পথ চিনিয়েছেন ব্রেসওয়েল।
এর মধ্যে ভারতের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করা হৃদয় এদিন শুরু থেকে ব্যাট হাতে স্বাচ্ছন্দ্যে ছিলেন না। একের পর এক ডটে চাপ বাড়ছিল তার ওপর। সে চাপ থেকে মুক্তি পেতেই ব্রেসওয়েলের অফ স্টাম্পের অনেক বাইরের বল শুন্যে ভাসিয়ে খেলে ক্যাচ হয়েছেন উইলিয়ামসনের। ২৪ বলে ৭ রানের হতাশাজনক ইনিংস খেলে বিদায় নেন তিনি।
এদিকে ক্রিজে এসেই উচ্চাভিলাষী শট খেলতে গিয়ে বাউন্ডারিতে ক্যাচ হয়েছেন ৫ বলে ২ রান করা মুশফিক। একই কায়দায় ব্রেসওয়েলকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে থার্ড ম্যানে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন মাহমুদউল্লাহ (৪)।
সতীর্থদের আসা-যাওয়ার মিছিলের মধ্যেও ঠাঁয় দাঁড়িয়েছিলেন অধিনায়ক শান্ত। ইনিংস শুরু করতে নেমে ৭১ বলে ফিফটি তুলে নেন তিনি। তবে দল একের পর এক উইকেট হারানোয় ফিফটির পরও এক্সিলারেটরে পা রাখতে পারেননি বাংলাদেশ অধিনায়ক। রান তোলার চাপ যখন বাড়তে থাকে তখন হঠাৎ আগ্রাসী হতে গিয়ে উইকেট ছুঁড়ে দেন তিনিও। দলীয় সর্বোচ্চ ৭৭ রানে ও’রুর্কের বলে ক্যাচ তুলে দিলে প্রতিরোধ ভাঙে তার।
শেষদিকে জাকের আলী ও রিশাদ হোসেনের দুটি ইনিংসে দুইশ ছাড়ায় বাংলাদেশের স্কোর। ৪৯তম ওভারের প্রথম বলে রানআউট হয়ে ফেরার আগে ৪৫ রান করেন জাকের, ২৬ রান আসে রিশাদের ব্যাটে।
কিউইদের পক্ষে ১০ ওভার বল করে স্রেফ ২৬ রান খরচায় ৪ উইকেট শিকার করেছেন ব্রেসওয়েল। দুই উইকেট গেছে উইল ও’রুর্কের ঝুলিতে।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.