চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে গ্রুপ পর্বে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের কাছে ৫ উইকেটের হারে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিশ্চিত হয়েছে বাংলাদেশের। একইসঙ্গে টুর্নামেন্টে টানা দুই ম্যাচ হারা স্বাগতিক পাকিস্তানের সুক্ষ্ম সম্ভাবনাও এর মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে। অন্যদিকে টানা দুই জয়ে গ্রুপ ‘এ’ থেকে সেমিফাইনালের টিকিট পেয়েছে ভারত ও নিউজিল্যান্ড।
রাওয়ালপিন্ডি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ২৩৭ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নামা নিউজিল্যান্ডকে শুরুতেই কাঁপিয়ে দেয় বাংলাদেশ। তাসকিন আহমেদের করা ইনিংসের প্রথম ওভারটি-ই ছিল উইকেট মেডেন। টানা পাঁচ বল ডট দিয়ে ওভারের শেষ বলে কিউই উইল ইয়াংয়ের (০) স্টাম্প গুঁড়িয়ে দেন তাসকিন।
এরপর অভিজ্ঞ ব্যাটার কেন উইলিয়ামসনকে (৫) উইকেটের পেছনে ক্যাচ বানান নাহিদ রানা। ১৫ রানের মধ্যে দুই উইকেট খুইয়ে বিপদে পড়া নিউজিল্যান্ডকে টেনে তোলার চেষ্টা করেন ডেভন কনওয়ে এবং রাচিন রবীন্দ্র। তৃতীয় ৫৭ রানের জুটিতে শুরুর ধাক্কা সামাল দেন তারা। মোস্তাফিজুর রহমানের বলে কনওয়ে ৩০ রান করে বোল্ড হলে ভাঙে এই জুটি।
তবে সঙ্গী হারিয়েও ক্রিজে অবিচল থাকেন রবীন্দ্র। ৫০ বলে ব্যক্তিগত ফিফটি তুলে নেন এই ব্যাটার। চতুর্থ উইকেটে উইকেটকিপার টম ল্যাথামকে নিয়ে গড়ে তোলেন ১২৯ রানের বড় এক জুটি। এর মধ্যেই ৯৫ বলে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের চতুর্থ সেঞ্চুরি তুলে নেন রবীন্দ্র। রিশাদ হোসেনের বলে বদলি ফিল্ডার ইমনের হাতে ক্যাচ দেওয়ার আগে ১২ চার ও ১ ছক্কায় ১১২ রানের ইনিংস সাজিয়েছেন তিনি।
ল্যাথামও খুব একটা পিছিয়ে ছিলেন না। মাহমুদউল্লাহর ডিরেক্ট থ্রোয়ে রানআউট হয়ে ফেরার আগে তার ব্যাটে আসে ৫৫ রান।
তৃতীয় উইকেটে কনওয়ে-রবীন্দ্র ও চতুর্থ উইকেটে রবীন্দ্র-ল্যাথামে দুটি জুটিতেই ম্যাচ হাত ফসকে যায় বাংলাদেশের। তবে সত্যি বলতে, নিজেদের ব্যাটিং ইনিংসেই ম্যাচের লাগাম বাংলাদেশের হাত থেকে ছুটে যায়।
জিতলে টিকে থাকবে, হারলে বাদ। এমন সমীকরণের ম্যাচে বাংলাদেশের ব্যাটাররা হতাশ করলেন। বিশেষ করে মুশফিক, মাহমুদউল্লাহ, মিরাজ, হৃদয়রা মোটেই দায়িত্ব নিতে পারেননি। ধ্বংসস্তূপে দাঁড়িয়ে অধিনায়ক শান্তর ফিফটি আর শেষদিকে জাকের-রিশাদের দুটি ইনিংসে ৯ উইকেটে ২৩৬ পর্যন্ত পৌঁছায় বাংলাদেশ।
সৌম্যর অনুপস্থিতিতে ইনিংস শুরু করতে নেমে দলীয় সর্বোচ্চ ৭৭ রান করেন শান্ত। তবে মিডল অর্ডারে মুশফিক-মাহমুদউল্লাহদের ব্যর্থতায় একপর্যায়ে বাংলাদেশ দুইশ পেরোনো-ও শঙ্কার মুখে পড়ে। শেষদিকে জাকের আলীর ৪৫ এবং রিশাদের ২৬ রানের লড়াকু দুই ইনিংসে মান বাঁচানো স্কোর পায় বাংলাদেশ। কিউইদের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট শিকার করেন স্পিনার মাইকেল ব্রেসওয়েল।
তবে ২৩৬ রানের পুঁজি নিয়ে শেষপর্যন্ত জয় তো দূরের কথা, ঠিকঠাক লড়াইও করতে পারেননি শান্ত-মিরাজরা।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.