চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথম দিনে বল হাতে বাংলাদেশের নায়ক ছিলেন তাইজুল ইসলাম। দ্বিতীয় দিনে ব্যাট হাতে বাংলাদেশকে টেনেছেন সাদমান ইসলাম। দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরিতে বাংলাদেশকে লিডের পথে এগিয়ে দিয়েছেন তিনি। দিনশেষে বাংলাদেশের লিড দাঁড়িয়েছে ৬৪ রান। যদিও শেষবেলায় পরপর কয়েকটি উইকেট হারিয়ে কিছুটা অস্বস্তিতে পড়েছে স্বাগতিকরা।
চট্টগ্রামের বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় দিনের প্রথম বলেই গুটিয়ে যায় জিম্বাবুয়ে। ৯০.১ ওভার ব্যাট করে সফরকারীরা স্কোরবোর্ডে জমা করে ২২৭ রান। জবাব দিতে নেমে প্রথম সেশনে জিম্বাবুয়ের বোলারদের শাসন করেন বাংলাদেশের দুই ওপেনার সাদমান এবং এই টেস্ট দিয়ে দলে ফেরা এনামুল হক বিজয়। তারা ২৬ ওভার ব্যাট করে তোলেন ১০৫ রান।
মধ্যাহ্ন বিরতির পর তাদের জুটি ভাঙে। ৩৯ রান করে ব্লেসিং মুজারাবানির বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন বিজয়। তবে দ্বিতীয় উইকেটে মুমিনুল হককে নিয়ে ৭৬ রানের আরেক জুটি গড়ে দলকে লিডের পথে অনেকটা এগিয়ে দেন সাদমান। ১৪২ বলে তিন অঙ্কের দেখা পাওয়া এই তরুণ ব্যাটার ছুটতে থাকেন সামনের দিকে।
কিন্তু দলীয় ১৯৪ রানে পরপর দুই বলে সাদমান এবং মুমিনুল ফিরলে কিছুটা বিপদে পড়ে বাংলাদেশ। ১২০ রান করে বেনেটের বলে এলবিডব্লিউ হন সাদমান। পরের বলে মুমিনুল হক উইকেট দেন ওয়েলিংটন মাসাকাদজাকে। ফেরার আগে এই সাবেক অধিনায়কের ব্যাটে আসে ৩৩ রান। বর্তমান অধিনায়ক শান্ত করেছেন ২৩ রান।
ছন্দে ফেরার ইঙ্গিত দিয়ে ৪০ রানে রানআউট হয়েছে অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিম। শেষবেলায় ১৬ রানে অপরাজিত রয়েছে অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজ।
দিনের শেষ সেশনে কিছুটা ভুগতে হয়েছে বাংলাদেশে। ৩ উইকেটে ২০৫ রানে সেশন শুরু করে দিন শেষ করতে হয়েছে ৭ উইকেটে ২৯১ রানে। এই সেশনে ৮৬ রান তুলতেই ৪ উইকেট হারিয়েছে তারা। শেষবেলার এই ধাক্কায় বাংলাদেশের বড় লিড পাওয়ার সম্ভাবনা কিছুটা হলেও ফিকে হয়েছে।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.