গোলাপগঞ্জে অবৈধভাবে টিলাকাটা অব্যাহত রয়েছে। উপজেলার আমুড়াসহ বিভিন্ন এলাকায় রাতের অন্ধকারে এসব টিলাকাটা অব্যাহত রয়েছে। এসব টিলা কাটার পর তা বাড়ীর বসতভিটে, পুকুর ও দোকানকোটা ভরাট করা হচ্ছে। এসব টিলাকাটার ফলে অনেক বসতবাড়ি রয়েছে চরম ঝুঁকির মধ্যে। ঝুঁকিতে থাকা আমুড়া ইউনিয়নের একটি পরিবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ করেছেন।

ইউএনও’র কাছে দেওয়া অভিযোগ সূত্রে জানাযায়, উপজেলার আমুড়া ইউনিয়নের ডামপাল গেইটের সামনে প্রধান সড়কের পাশে অবৈধভাবে একটি টিলা কেটে দেদারছে মাটি বিক্রি করছে একটি মহল। টিলাকেটে মাটি বিক্রি করার ফলে পার্শবর্তী রাস্তার অবস্থা বেহাল হয়ে পড়েছে। ঘণ ঘণ ট্রাক ও ট্রাক্টর আসা-যাওয়ার কারণে রাস্তার ওপর মাটি পড়ে সৃষ্টি হয়েছে চরম ঝুঁকি।

এছাড়া টিলাকেটে মাটি বিক্রি করার ফলে আশপাশ ঘরবাড়ি পড়েছে ঝুঁকির মধ্যে। প্রতিকার চেয়ে এলাকার কয়েকজন স্তানীয় ব্যক্তি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিলটন চন্দ্র পালের কাছে একটি অভিযোগ দেন।

২৯ এপ্রিল দেওয়া অভিযোগের পর বিষয়টি ব্যবস্থা নিতে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।  জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিলটন চন্দ্র পাল জানান, টিলা কাটার বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি দেখতে এসিল্যান্ডকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফয়সাল মাহমুদ ফুয়াদ বলেন, টিলা কাটার বিষয়ে আমি একটি অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে রিপোর্ট দিতে সংশ্লিষ্ট ভূমি অফিসকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রিপোর্ট পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.