সিলেট বিভাগের ৪ জেলাসহদেশের ১১ জেলায় স্বল্পমেয়াদি বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে সতর্কতা জারি করেছে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র। উত্তর, উত্তর-পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের ১১ জেলায় এই বন্যার শঙ্কা রয়েছে।
আগামীকাল শুক্রবার পর্যন্ত পূর্বাভাসে এই সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
পাউবোর বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে, শুক্রবার পর্যন্ত ভারি থেকে অতি ভারি বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকায় দেশের উত্তরে রংপুর, নীলফামারি, লালমনিরহাট, গাইবান্ধা ও কুড়িগ্রাম, উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সিলেট, সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, নেত্রকোনা এবং দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের ফেনী জেলায় বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে।
এদিকে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপ নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। নিম্নচাপটি ঘনীভূত হওয়ার সম্ভাবনা থাকলেও ঘূর্ণিঝড়ের কোনো আশঙ্কা নেই। তবে অতিভারি বর্ষণের আশঙ্কা রয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ ড. মো. বজলুর রশিদ জানিয়েছেন, বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা নেই।
তবে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে উপকূলীয় অঞ্চলসহ সারা দেশে থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। শনিবার থেকে আকাশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার কথা জানিয়েছেন তিনি।
বন্যা পূর্বাভাস কেন্দ্র বলছে, শুক্রবার পর্যন্ত চট্টগ্রাম বিভাগের গোমতী, মুহুরী ও ফেনী ইত্যাদি নদীর পানি বাড়তে পারে। এ সময় মুহুরী নদীর পানি কিছু পয়েন্টে বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে।
এতে ফেনী জেলার মুহুরী নদীসংলগ্ন নিম্নাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টির ঝুঁকি রয়েছে। পানি বেড়ে রংপুর বিভাগে তিস্তা নদীও কিছু পয়েন্টে বিপদসীমা অতিক্রম করতে পারে। এতে তিস্তাসংলগ্ন রংপুর, নীলফামারী, লালমনিরহাট, গাইবান্ধা ও কুড়িগ্রাম জেলার নিম্নাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে।
অন্যদিকে সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগে সারিগোয়াইন, যাদুকাটা, মনু, খোয়াই ও সোমেশ্বরী নদীর পানি কিছু পয়েন্টে বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে। এতে এসব নদীসংলগ্ন সিলেট, সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ ও নেত্রকোনা জেলার নিম্নাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.