বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপটি সরে গেলেও তার প্রভাব রয়ে গেছে। টানা বর্ষণ চলছে সিলেট অঞ্চলজুড়ে। আবার উজানে ভারতের আসাম এবং মেঘালয়েও হচ্ছে ভারী বৃষ্টিপাত। এর পানিও নেমে আসছে।

এ অবস্থায় সিলেটের নিম্নাঞ্চলের কিছু কিছু অংশ ডুবে গেছে। ফুঁসছে সুরমা-কুশিয়ারাও। বিপৎসীমা অতিক্রম না করলেও যখন তখন দুকূল ছাপিয়ে ভয়াবহ বন্যার মুখোমুখী হতে পারে পুরো সিলেট বিভাগ।

গত কয়েকদিন ধরেই সিলেট অঞ্চলে বন্যার পূর্বাভাস দিয়ে যাচ্ছে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র। ভারী বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলের পানির কারণে বরাবরই সিলেট অঞ্চল ভেসে যায়। এটা প্রতি বর্ষায়ই হয়।

এবারও তাই হচ্ছে। গত বৃহস্পতিবার থেকে সিলেটজুড়ে থেমে থেমে বৃষ্টি ঝরছিল। তবে শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত তার পরিমাণ ছিল প্রায় ২২৯ মিলিমিটার। শুক্রবার রাত আর শনিবার মিলে এ অঞ্চলে চলছিল তুমুল বৃষ্টিপাত, যাকে বলে মুষলধারে বৃষ্টি। এমন বর্ষণে জনজীবনতো অচল হয়েই পড়েছে।

এদিকে আবার ক্ষনে ক্ষনে আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে সুরমা কুশিয়ারার পানি। শুক্রবার বিকেলেও বিপৎসীমার কয়েক ফুট নিচে থাকলেও রাতেই তা আশঙ্কাজনক পর্যায়ের দিকে যেতে থাকে।

বৃষ্টি কেবল এদিকেই ঝরছে, তা না। ঝরছে উজানে, ভারতের আসাম এবং মেঘালয় রাজ্যে। ভারী না, রীতিমতো অতি ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে সেখানে। সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, গত ২৪ ঘন্টায় (শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে শনিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত) ভারতের মেঘালয় রাজ্যের চেরাপুঞ্জিতে মোট ৪১০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে।

আসাম মেঘালয়ের বৃষ্টির পানি দ্রুত নেমে আসে সুরমা কুশিয়ারা এবং সারি, সারিগোয়াইন, লোভাছাড়ার মতো পাহাড়ী নদী হয়ে। আর তখন দুকূল ছাপিয়ে পানি ঢুকে পড়ে লোকালয়ে। এখনো বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হলেও সুরমা-কুশিয়ারা যেভাবে ফুঁসছে, যখন তখন বন্যা দেখা দেয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.