একদিন পর ঈদুল আজহা। ঘরে ঘরে ঈদের প্রস্তুতি। ইতোমধ্যে অনেকে কুরবানির পশু কিনে ফেলেছেন। অনেকে হাঁট-বাজারে ঘুরছেন পশুর সন্ধানে।
আমাদের মধ্যে অনেকেই অংশীদারি কুরবানি করেন। সেক্ষেত্রে গরু-মহিষ কিনে আনার পর শরিকের সংখ্যা বাড়ানো কমানো যাবে কিনা এ নিয়ে জানার আগ্রহ অনেকের।এক্ষেত্রে ইসলাম কী বলে-
নিয়ম : যদি কেউ গরু, মহিষ বা উট একা কুরবানি দেওয়ার নিয়তে ক্রয় করে আর সে ধনী হয়, তাহলে তার জন্য এ পশুতে অন্যকে শরিক করা বৈধ। তবে এতে কাউকে শরিক না করে তার একা কুরবানি করাই শ্রেয়। শরিক করলে সে টাকা সদকা করে দেওয়া উত্তম। আর যদি ওই ব্যক্তি এমন গরিব হয়, যার ওপর কুরবানি করা ওয়াজিব নয়, তাহলে যেহেতু কুরবানির নিয়তে পশুটি ক্রয় করার মাধ্যমে লোকটি তার পুরোটাই আল্লাহর জন্য নির্ধারণ করে নিয়েছে, তাই তার জন্য এ পশুতে অন্যকে শরিক করা বৈধ নয়। যদি শরিক করে, তাহলে ওই টাকা সদকা করে দেওয়া জরুরি। আর কুরবানির পশুতে কাউকে শরিক করতে চাইলে পশু ক্রয়ের সময়ই নিয়ত করে নিতে হবে। (ফতোয়ায়ে কাজিখান : ৩/৩৫০-৩৫১, বাদায়েউস সানায়ে : ৪/২১০)।
আরও কিছু মাসায়েল
নিয়ম : জবাইয়ের আগে কোনো শরিকের মৃত্যু হলে তার ওয়ারিশরা যদি মৃতের পক্ষ থেকে কুরবানি করার অনুমতি দেয়, তাহলে তা বৈধ হবে। নইলে ওই শরিকের টাকা ফেরত দিতে হবে। সে ক্ষেত্রে তার স্থলে অন্যকে শরিক করা যাবে। (আদ্দুররুল মুখতার : ৬/৩২৬, ফতোয়ায়ে কাজিখান : ৩/৩৫১)।
নিয়ম : কুরবানির পশুতে আকিকা ও হজের কুরবানির নিয়ত করা যাবে। এতে প্রত্যেকের নিয়তকৃত ইবাদত আদায় হয়ে যাবে। এমন পশু হেরেম এলাকায় জবাই করতে হবে। অন্যথায় হজের কুরবানি আদায় হবে না। (বাদায়েউস সানায়ে : ৪/২০৯, আল-ইনায়া : ৮/৪৩৫-৩৪৬)।
নিয়ম : যেসব পশু কুরবানি করা জায়েজ, সেগুলোর নর-মাদা দুটোই কুরবানি করা যায়। (ফতোয়ায়ে কাজিখান : ৩/৩৪৮, বাদায়েউস সানায়ে : ৪/২০৫)।
নিয়ম : কুরবানির পশু ক্রয় বা নির্দিষ্ট করার পর তা দ্বারা কোনোরূপ উপকৃত হওয়া মাকরুহ। (যেমন- হালচাষ করা, তার পিঠে আরোহণ করা, বোঝা বহন করানো, পশম কাটা ইত্যাদি)। যদি কেউ উপকৃত হয়, তাহলে পশম বা হালচাষের মূল্য ইত্যাদি সদকা করে দেবে। (মুসনাদে আহমদ : ২/১৪৬, ফতোয়ায়ে কাজিখান : ৩/৩৫৪)।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.