এবারের ঈদুল আজহার ছুটিতে সিলেটের পর্যটনকেন্দ্রগুলোয় ভিড় জমাচ্ছেন পর্যটকেরা। তবে জাফলংয়ে এখনো প্রত্যাশা অনুযায়ী পর্যটকদের তেমন উপস্থিতি লক্ষ করা যায়নি। এতে খানিকটা হতাশ স্থানীয় পর্যটন ব্যবসায়ীরা। তবে ঈদের ছুটির বাকি দিনগুলোতে পর্যটকের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশায় রয়েছেন তারা।
স্থানীয় পর্যটন ব্যবসায়ীরা বলছেন, এবার ঈদে জাফলংয়ে কম পর্যটক বেড়াতে এসেছেন। আশা করছি, বাকি দিনগুলো থেকে পর্যটক বাড়তে পারে।
জাফলং ছাড়াও বিছনাকান্দি, রাতারগুলসহ অন্যান্য দর্শনীয় স্থানেও এবার প্রত্যাশার চেয়ে কম দর্শনার্থী বেড়াতে এসেছেন।
ভারতের মেঘালয়ের সবুজ পাহাড়, পাথর আর ঝর্ণা দেখতে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে প্রতি বছর ঈদের সময় বহু পর্যটক বেড়াতে আসেন জাফলংয়ে।
সোমবার জাফলংয়ে গিয়ে দেখা যায়, সকাল থেকেই দল বেঁধে পর্যটকেরা ঘুরতে বের হয়েছেন। মেঘালয়ের পাহাড়, পাথর আর ঝরনার স্বচ্ছ জলের সমাহার দেখে যেন তাঁরা মুগ্ধ হচ্ছেন। পরিবার-পরিজন ও বন্ধুবান্ধব নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন আর ছবি তুলছেন। কেউ কেউ নৌকা নিয়ে মায়াবী ঝরনা, খাসিয়া পল্লি আর চা-বাগানের উদ্দেশে যাচ্ছেন।
রংপুর থেকে সপরিবারে বেড়াতে আসা জয়নাল মিয়া বলেন, ঈদের ছুটি পেয়ে পরিবার নিয়ে ঘুরতে এসেছি। এখানকার চারপাশের পরিবেশ খুব চমৎকার। জাফলংয়ের মায়াবী ঝরনা যেন মন কেড়ে নিয়েছে। খুব সুন্দর একটি জায়গা। খুব ভালো লাগল।
জাফলংয়ের কসমেটিকস ব্যবসায়ী মানিক মিয়া বলেন, এ বছর প্রত্যাশা অনুযায়ী কম পর্যটক এসেছেন। বেচাকেনাও অন্যান্য বছরের চাইতে কম। আশা করছি, সামনের দিনগুলোতে পর্যটক বাড়লে বেচাকেনা ভালো হবে।
জাফলং পর্যটনকেন্দ্র ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি হোসেন মিয়া বলেন, ঈদের লম্বা ছুটিতে পর্যটনকেন্দ্রগুলোয় পর্যটকেরা বেড়াতে এসেছেন। তবে, অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর পর্যটক কিছুটা কম। আশা করছি সামনের দিন থেকে পর্যটক বাড়তে পারে।
গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রতন কুমার অধিকারী জানান, পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তায় উপজেলা প্রশাসন কাজ করছে। যে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পর্যটনকেন্দ্রগুলোতে পর্যটকদের জন্য বাড়তি নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। প্রতিবছরের মতো এবারের ঈদেও পর্যটকদের নিরাপত্তায় থানা পুলিশ, ট্যুরিস্ট পুলিশ, বিজিবি, আনসার, রেড ক্রিসেন্টের সদস্য ও রোভার স্কাউটের সদস্যরা কাজ করছেন।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.