এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে সিঙ্গাপুরকে অনেকটা সময় আটকে রাখে বাংলাদেশ। তবে আক্রমণের তোড়ে অর্ধের একেবারে শেষ দিকে একটি গোল হজম করে বসেছে স্বাগতিকরা। সং উই ইয়ংয়ের গোলে ০-১ ব্যবধানে পিছিয়ে থেকেই বিরতিতে যেতে হয়েছে হামজাদের।
ঢাকার জাতীয় স্টেডিয়ামে শুরু থেকেই সিঙ্গাপুরকে সেয়ানে সেয়ানে টক্কর দেওয়ার চেষ্টা করে বাংলাদেশ। তবে র্যাঙ্কিংয়ে বেশ এগিয়ে থাকা সফরকারী দলটি বাংলাদেশকে ম্যাচের শুরুর দিকে খুব বেশি আক্রমণ গড়ার সুযোগ দেয়নি।
সিঙ্গাপুর ম্যাচের প্রথম ১০ মিনিটের মধ্যেই এগিয়ে যেতে পারত। হ্যারিস স্টুয়ার্টের লং থ্রো নিয়ন্ত্রণে নিতে চেয়েও পারেননি বাংলাদেশ গোলকিপার মিতুল মারমা। সে সুযোগে জর্ডানের হেডে বল পেয়ে যান সং উই ইয়াং। কিন্তু গোলের অল্প দূরত্ব থেকে শট নিয়েও লক্ষ্যে রাখতে পারেননি তিনি।
৩১ মিনিটে সিঙ্গাপুরের ফরোয়ার্ড ইখসান ফান্দির শট বাঁ দিকে ঝাঁপিয়ে পড়ে ঠেকিয়ে দেন মিতুল মারমা।
বাংলাদেশের পক্ষে অভিষিক্ত শমিত সোম আক্রমণাত্মক মিডফিল্ডারের ভূমিকায় বেশকিছু সুযোগ তৈরি করে দিয়েছেন। তবে এই অর্ধে কার্যকরী নাম্বার নাইনের অভাব হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছে বাংলাদেশ। ফরোয়ার্ড লাইনে খেলা তরুণ ফাহামেদুল ২৪ মিনিটে হলুদ কার্ড দেখলেও তার খেলা ছিল প্রাণবন্ত। বেশ কয়েকবার বল নিয়ে সিঙ্গাপুরের বক্সের দিকে ছুটে গিয়েছিলেন। কিন্তু ফিনিশিং টাচের অভাবে বারবার হতাশ হতে হয়েছে।
তবে প্রথমার্ধের শেষ দিকে বাংলাদেশকে সত্যিকার অর্থেই হতাশ হতে হয় সং-এর গোলে। হ্যারিসের ক্রসে ডান পায়ের ভলিতে জাল কাঁপান সিঙ্গাপুরের এই ফরোয়ার্ড।
ম্যাচের ফল পক্ষে আনতে এখন দ্বিতীয়ার্ধে প্রত্যাবর্তনের গল্প লিখতে হবে বাংলাদেশকে। সে গল্পের কারিগর হওয়ার সামর্থ্য রয়েছে হামজা-শমিতদের।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.