চলতি জ্যৈষ্ঠ মাসে ঝড়সহ বৃষ্টির শঙ্কাও আছে । এর মধ্যে এ সপ্তাহে ঈদের ছুটিতেও বিদ্যুতের লোডশেডিং বৃদ্ধির আশঙ্কা রয়েছে। বিদ্যুৎ সরবরাহ নিরবচ্ছিন্ন রাখতে বিয়ানীবাজার পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ তেমন কোন উদ্যোগ নেয়নি। অপেক্ষাকৃত নাজুক সঞ্চালন ও বিতরণ ব্যবস্থার কারণে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা বা সকল গ্রাহকের কাছে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়া প্রায় অসম্ভব বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

ঈদের মতো বড় ছুটির সময় সাধারণত বিদ্যুতের চাহিদা কমে। চাহিদা কম থাকায় উত্পাদন ও সরবরাহে তেমন ঘাটতি থাকে না। তবে এখন ছুটির দিনেও ঘাটতি থাকছে। বিয়ানীবাজারে সেই ঘাটতি আরও বেশি।

এদিকে পল্লী বিদ্যুৎ কর্মচারীদের কর্মবিরতির পাশাপাশি গণছুটির কর্মসূচিতে হুমকির মুখে রয়েছে বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা। কর্মবিরতির কারণে লাইনের ত্রুটি মেরামত করা যাচ্ছে না, এতে করে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ বিভ্রাটের খবর পাওয়া যাচ্ছে। সিলেট পবিস-১ এর অনেক কর্মচারীর গণছুটির খবর পাওয়া গেছে।বিদ্যুৎ কর্মীদের দ্রুত কাজে ফেরানো না গেলে পরিস্থিতি অবনতির শঙ্কা করছেন অনেকেই।

বিয়ানীবাজার পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের এজিএম (কম) মাহমুদুল হাসান জানান, বৈরী আবহাওয়ার কারণে বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থায় আমাদের হিমশিম খেতে হচ্ছে। তাছাড়া কিছু কর্মচারীর আন্দোলনও আমাদের বিব্রত অবস্থায় ফেলেছে। এরপরও আমরা বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থা স্বাভাবিক রাখতে কাজ করছি।

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.